• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আইপিএল-জুয়া’র জালে রায়নার দলের ক্রিকেটার!


প্রকাশিত: ১:৪৬ পিএম, ১৫ মে ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

বিমল বড়ুয়া  :  ফের আইপিএল জুয়া। এবার রায়নার দলের ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারই Rayna team-www.jatirkhantha.com.bdঅভিযান চালিয়ে কানপুর পুলিশ গড়াপেটায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জন বুকিকে গ্রেফতার করেছিল। তার পরেই বোর্ডের তরফে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল।

বোর্ডের তরফে পাল্টা জানানো হয়, পুলিশ গ্রেফতার করার আগে থেকেই বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী আধিকারিকরা নজর রাখছিল তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তাঁদের কাছ থেকে কানপুর পুলিশ আপাতত ৪০.৯০ লাখ নগদ টাকা এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর কানপুরের পুলিশের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, পুরো চক্রান্ত ‘নষ্ট’ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া কানপুরের তিন ব্যক্তি হলেন— থানের ব্যবসায়ী রমেশ নয়ন শাহ, বিকাশ চহ্বান এবং রমেশ কুমার। প্রথমে উত্তর প্রদেশ পুলিশের নজরে আসে গড়াপেটার বিশাল এই চাঁই। তার পরেই কানপুরে আইপিএল খেলার সময়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও গুজরাত লায়ন্স ক্রিকেটাররা যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেই হোটেল থেকেই বুকিদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ম্যাচে বুকিরা প্রভাব ফেলে থাকতে পারেন।

রাজস্থানের আজমের থেকে পুরো গড়াপেটা পরিচালিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কানপুর স্টেডিয়ামে আইপিএল-এর ম্যাচে হোর্ডিং লাগানোর বরাত পেয়েছিলেন রমেশ কুমার। ওই হোটেলে নয়ন শাহের ঘর থেকেই আজমেরের মাথার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন রমেশ। তাঁর কাছেই ম্যাচ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছিলেন রমেশ।

শুধু তাই নয়, জেরায় রমেশ কুমার দু’জন গুজরাত লায়ন্স ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই দুই ক্রিকেটার বুকিদের কথা মতো ‘কাজ’ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এমনটাই অভিযোগ। এবং এই তথ্য দিনের আলোয় আসার পরেই কিন্তু ফিরে আসছে শ্রীসন্থ-অধ্যায়। যেহেতু দু’ জন গুজরাত লায়ন্স-এর ক্রিকেটারের নাম জড়িয়েছে গোটা ঘটনায়, তাই রায়নার দলের সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোথাকার জল এখন কোথায় গিয়ে গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।