• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য হিলারীর মত এত যোগ্য প্রার্থী আর দেখা যায়নি-ওবামা


প্রকাশিত: ৮:৫২ পিএম, ৬ জুলাই ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৪ বার

কূটনৈতিক রিপোর্টার  :  হিলারি ক্লিন্টনকে  বারাক ওবামা তাঁকে সর্বকালের সেরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট hilari-obama-www.jatirkhantha.com.bdপদপ্রার্থী হিসেবে বর্ণনা করে জোরালো সমর্থন জানালেন।একই দিনে সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ।ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে হিলারি ক্লিন্টন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জোরালো সমর্থন পেলেন, যা অ্যামেরিকার রাজনৈতিক জগতে অত্যন্ত বিরল ঘটনা।  অন্যদিকে তাঁর ই-মেল কেলেঙ্কারির ভূত আরও জোরালোভাবে তাঁর ঘাড়ে চেপে বসলো।

কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সাধারণত তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরী থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। এটাই অলিখিত প্রথা হিসেবে অ্যামেরিকায় চলে এসেছে। কিন্তু বিরোধী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হবার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো চরম বিতর্কিত মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, তার প্রেক্ষাপটে ওবামা সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে নিজের দলের প্রার্থী ও প্রাক্তন সহকর্মীর পক্ষে জোরালো সুপারিশ করলেন।

স্পষ্ট ভাষায় তিনি বললেন, হিলারি ক্লিন্টনের হাতে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।  এমন ভূয়সী প্রশংসা বোধহয় হিলারিও আশা করেননি।  ওবামা বলেন, এর আগে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য কখনও এত যোগ্য প্রার্থী দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, প্রায় তিন সপ্তাহ পর দলীয় সম্মেলনে হিলারি ক্লিন্টন আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে চলেছেন।জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ওবামাকে পাশে পেয়ে হিলারি ক্লিন্টন অবশ্যই অভিভূত।

কিন্তু তাঁর যোগ্যতার উপর কালো ছায়া ফেলেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর একটি আচরণ। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তিনি চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়েছেন।  সাধারণ ই-মেল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তিনি গোপন বিষয় সম্পর্কে অনেকের সঙ্গে পত্রালাপ করেছেন।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তাঁর এই আচরণকে অত্যন্ত অসতর্ক হিসেবে বর্ণনা করেছে।তবে বিস্তারিত তদন্ত চালিয়েও ইচ্ছাকৃত অসদাচরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।ক্লিন্টন আপাতত আইনি প্রক্রিয়া থেকে রক্ষা পেয়ে গেলেন।  যদিও তাঁর ভাবমূর্তি একটা বড় ধাক্কা খেয়ে গেল।

বলা বাহুল্য, হিলারি ক্লিন্টনের প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দোষী হওয়া সত্ত্বেও ক্লিন্টন পার পেয়ে গেলেন।  ফলে গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার দুর্বলতার পরিচয় পাওয়া গেল। তবে এমন অসতর্ক আচরণের কারণে ক্লিন্টন কোনো উচ্চ পদের জন্য উপযুক্ত নন বলে মনে করেন ট্রাম্প।