অস্বাভাবিক মজুদে জেল
বাড়তি দ্রব্যমূল্যে ক্ষুদ্ধ প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ-
বিশেষ প্রতিনিধি : নির্বাচনের পর হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর পেছনে কারা, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। অস্বাভাবিকভাবে দুরভিসন্ধিমূলক মজুদ করলে তাদের খুঁজে বের করে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেলে দিতে হবে। মানুষের খাদ্য নিয়ে খেলা মেনে নেওয়া হবে না। কেউ কালোবাজারি বা জিনিস মজুদ করলে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রয়োজনে প্রশাসনকে জানাতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের এবার ইতিহাস তৈরি হয়েছে। ১৯৭৫ এর পর প্রতিটি নির্বাচন সম্পর্কে জানা আছে। মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেললে মানুষ মেনে নেয় না। সাত জানুয়ারির ভোটে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগহণ করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অপপ্রচার চালাতে লিফলেট বিতরণ করেছে। কিন্তু মানুষ তাদের কথায় কান দেয়নি। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেছে দেশে একমাত্র শক্তিশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি, যোগ করেন শেখ হাসিনা।
এবারের নির্বাচনে ২৮ রাজনৈতিক দল এবং মোট এক হাজার ৯৭০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটে যায়নি বিএনপি। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ দলনেতা বলেন, নির্বাচনে যাবে কিনা সেটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলেন আঁতেল শ্রেণির মানুষ। নির্বাচন যখন মানুষ গ্রহণ করেছে, তখন কি বলার আছে!
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি অন্যভাবে দেশে একটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। তবে মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না।‘আঁতেল শ্রেণি’ দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আর ‘অস্বাভাবিক সরকার’ আসবে না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। যারা বাধা দেবার চেষ্টা করবে, তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নতি হয় না, সেটা প্রমাণিত।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে এক অআনুষ্ঠানিক বৈঠকে রমজান মাসে নিত্যপণ্য দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নয়া মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এরপর ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকেও মন্ত্রীদের খাদ্য পণ্যের দাম সামঞ্জস্য করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন তিনি বলেন, যাতে ভোক্তা এবং কৃষক কারো ওপরেই চাপ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, তারপরেও চক্রান্তকারীরা তৎপর রয়েছে কীভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো যায়, মানুষকে সরকারের প্রতি বিক্ষুব্ধ করা যায়। সেটিও মাথায় রাখতে হবে।