অবশেষে ১হালি পেঁয়াজ ১৬ টাকা
বিশেষ প্রতিনিধি : অবশেষে পেঁয়াজের হালি বিক্রি শুরু হলো। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন নিম্নবিত্ত বাজার গুলোতে ১হালি পেঁয়াজ ১৬ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।এদিকে কোথাও কোথাও বিক্রেতারা পলিথিনে ভরে এক হালি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ১০ টাকা দরেও।ঢাকার মালিবাগ রেলগেট বাজারে পেঁয়াজ ১৬ টাকা হালিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। মধুবাগ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন জাতিরকন্ঠ কে বলেন- এক কেজি পেঁয়াজ গুণে দেখা গেছে সংখ্যায় ৩৬ থেকে ৪১টি। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ হালি। তাই যাদের পয়সা কম তারা হালি হিসাবে পেঁয়াজ কিনছেন ১৬ টাকা দরে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার বাইরেও ক্রমাগত দাম বাড়ায় পাত থেকে একরকম উধাও হয়ে গেছে কাঁচা পেঁয়াজ, পেঁয়াজের সালাদ, ছোট-বড় মাছের দো-পেঁয়াজো। অনেকের তরকারি ডালায় যে কয়টা পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে তাও ‘সবে ধন নীলমণি।’ এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পেঁয়াজের বিক্রিতে দেখা গেছে এক নতুন ধারা।
আমাদের সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সেখানে পেঁয়াজের হালি এখন ১৬ টাকা। নিম্ন আয়ের ক্রেতারা হালি হিসাবে পেঁয়াজ কিনছেন। আর ওজন করে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এতে প্রতিটি পিঁয়াজের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৪ টাকা। গত সপ্তাহের কেজি প্রতি পিঁয়াজের দাম ১২০ টাকা থেকে আরও এক ধাপ বেড়ে শনিবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকায়। শনিবার উপজেলার চান্দাইকোনা, ধানগড়া, ব্রহ্মগাছা, নিমগাছিসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এলাকার চান্দাইকোনা বাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী রফিক উল্লাহ জাতিরকন্ঠ কে বলেন- এক কেজি পেঁয়াজ গুণে দেখা গেছে সংখ্যায় তা হয় ৩৬ থেকে ৪১টি। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ হালি। তাই যাদের পয়সা কম তারা হালি হিসাবে পেঁয়াজ কিনছেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীমুর রহমান জানান, স্থানীয় বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের অতি মুনাফা লোভীদের বিষয়ে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। কেউ মজুদ করে থাকলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।