• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

অবশেষে মুক্তারপুর টোলপ্লাজা লুটপাটের মামলা-চিহ্নিত রাঘববোয়াল সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য


প্রকাশিত: ৩:৫৩ এএম, ২২ জুলাই ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪৯ বার

mukterpur-1-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: অবশেষে ঘটনার পাঁচ দিন পর মামলা নিতে বাধ্য হলেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।তবে পুলিশ মামলা নিলেও ঘটনার ছয় দিন পরও অভিযুক্ত মুক্তারপুর টোলপ্লাজা লুটপাট ভাংচুর ও সরকারী সম্পত্তি ক্ষতিসাধনকারী চিহ্নিত রাঘববোয়াল এবং সন্ত্রাসীদের পাকরাও করতে পারেননি।

অনলাইন দৈনিক ও সংবাদmukterpur-2-www.jatirkhantha.com.bd সংস্থা জাতিরকন্ঠ এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সিরিজ রিপোর্ট প্রকাশ করলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্ঠি হয়।এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য রিপোর্টগুলো হচ্ছে-বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষীর ছেলে বিপ্লবের চেলাদের মুক্তারপুর টোল প্লাজা ভাংচুর লুটপাট,মুক্তারপুর টোল প্লাজা ভাংচুরকারী রাঘববোয়ালরা বীরদর্পে ঘুরছে-ওসি ধরছেনা-মামলাও নেয়া হয়নি..।

mukterpur-3প্রত্যক্ষদর্শীরা জাতিরকন্ঠকে জানান, ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু তথা মুক্তারপুর সেতুটিতে সরকার বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটারাইজ্ড টোলপ্লাজা স্থাপন করে।এই টোলপ্লাজাটিই ভাংচুর করে দুবৃত্বরা। ডিজিটাল  টোলপ্লাজার সিসি টিভি ক্যামেরার রেকর্ডে যে মাইক্রোবাসটি টোল না দিয়ে চলে যাচ্ছিল এবং  যে গাড়ি থেকে লোকজন নেমে টোলপ্লাজা ভাংচুর করেছে সেই আলোচিত মাইক্রোবাসটি ইতিপূর্বে একাধিক দাঙ্গা হাঙ্গামায় ব্যবহৃত হয়েছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শী মুন্সিগঞ্জের লোকজন।

mukterpur-6কিন্তু থানার ওসি এসব জানেন না বলেও দাবি করেন। মুন্সিগঞ্জ সদর থানা এসব জেনেও গাড়ির মালিকের সন্ধান করেননি। ওসি মোহাম্মদ ইউনূস জাতিরকন্ঠকে জানান, ঘটনার রাতে তিনি অকুস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন।কিন্তু তারপরও থানার ওসি যথাযথ ব্যবস্থা নেননি কেন এ প্রশ্নে বলেন, তদন্ত চলছে, আসামী ধরার চেষ্ঠা তৎপরতা চলছে।

টোলপ্লাজার ম্যানেজার  জানান,  মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ এজাহার গ্রহণ করে।মামলার বাদি টোলপ্রাজার উপ সহকারি প্রকৌশলী রাজন চন্দ্র বিশ্বাস এই মামলা দায়ের করেন।মামলা নম্বর৪১/৫২৩।তারিখ-২১/০৭/১৫। ধারা-দন্ডবিধির ১৪৩,৩৩২, ৩৫৩,৩৭৯,৪২৭ ও ৫০৬।মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে এস আই মোশাররফ হোসেনকে।

এজাহারে অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে আসামী করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এজাহারে বলা হয়েছে, ওই দিন রাত ১টা ২৫ মিনিটের সময় মাইক্রোবাস নম্বর-ঢাকা  মেট্টো-চ-১১-০৪৫৪ টোল দিতে অস্বীকার করে নানা ধরনের টালাবাহানা করে।পরে টোল কালেকটর টোল না দিলে তার বেতন থেকে টাকা কেটে নেবে জানালে দুর্বৃত্বরা  টোলের টাকা দিয়ে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। ওই সময় ওই গাড়ির চালক জানায়, তুই কার কাছে  টোলের টাকা নিছস দেখিয়ে  দিব, আমরা আসতেছি।এরপর রাত ২টা ১০ মিনিটে ওই মাইক্রোবাস চালক ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সম্ত্রাসী মুক্তারপুর টোলপ্লাজা হামলা করে।এসময় হামলাকারীরা টোলপ্লাজার কলেকটর মিজানুর রহমান ও ম্য্যানেজার শাহ আলমকে বেদম মারধর করে।হামলাকারীরা টোলপ্লাজার ডিজিটাল কম্পিউটারাইজ্ড সিস্টেম, টোলপ্লাজার যন্ত্রপাতি, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন জিনিষপত্র ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এতে টোলপ্লাজার নগদ ১৭৯০ টাকা লুটপাট সহ ৫০/৬০ হাজার টাকার সম্পদ ক্ষতিসাধিত হয়।