অবশেষে বিশ্ববাসীর গালমন্দ শুনে রোহিঙ্গাদের কথা শুনবে সুচি’র দূত
আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার : রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে কথা বলতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি তার এক বিশেষ দূত পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশে। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত এই বিশেষ দূত পাঠানোর কথাটি বাংলাদেশকে জানান।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘উনি (রাষ্ট্রদূত) আমাদের বলেছেন তাদের একজন স্পেশাল এনভয় (দূত) আসবেন। তারা শিগগিরই আমাদের জানাবেন কবে আসবেন। শহীদুল হক জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা হাজার-হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা মূল্যায়নের জন্য এ দূত পাঠাচ্ছেন সু চি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধে কোনও ভূমিকা না রাখায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো আং সান সু চি’র কড়া সমালোচনা করছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে যে রাখাইন রাজ্যে গত কয়েক মাসে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নিপীড়নের ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বাংলাদেশর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছে, তাদের দেশ থেকে পালিয়ে আসা নাগরিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানান, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশি জেলেদের একটি নৌকায় মিয়ানমারের বাহিনীর গুলি করার ঘটনায় একটি প্রতিবাদ পত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, জেলেরা বাংলাদেশর জলসীমায় থাকার পরেও মিয়ানমারের বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
এদিকে, ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থান্টকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর দুপুর ১টার দিকে রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থান্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন তিনি। বেরিয়ে যাওয়ার পর পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপক্ষীয়) কামরুল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি পত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রথম পত্রে বাংলাদেশে অবস্থিত নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সব রোহিঙ্গা নাগরিককে যত দ্রুত সম্ভব ফেরত নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।কামরুল আহসান বলেন, ‘দ্বিতীয় পত্রে গত মঙ্গলবার সেন্ট মার্টিনে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে চার বাংলাদেশি জেলের আহত হওয়ার ঘটনা পূর্ণ তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।