১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় চলবে স্বপ্নের মেট্রোরেল-
স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে ঢাকায় চালু হচ্ছে বহুল আকাংখিত মেট্টোরেল। এই মেট্টোরেল চালু করার লক্ষ্যে মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ নির্মাণের জন্য তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আজ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলের কাজ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আশা করছি আগামী ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এর বাণিজ্যিক পরিচালনা শুরু হবে। আজ বুধবার সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে এ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গত বছরের জুলাইতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীর জঙ্গি হামলার ঘটনার পর মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। এখন সেটা পূরণের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। যথাসময়ে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশের একটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ইতালিয়ান দুটি কোম্পানির মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ বাংলাদেশ ও ইতালিয়ান দু`টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশনের সঙ্গে সিপি-২ চুক্তি হয়। আলাদাভাবে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সিপি-৩ ও ৪ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমরা এমআরটি লাইন- ৬ এর আওতায় মেট্রোরেলের লাইন, স্টেশন ও ডিপো সম্পর্কিত আলাদা তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন করলাম।
সিপি-২, সিপি-৩, সিপি-৪ এ তিন প্যাকেজের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা। এ টাকা ব্যয় হবে তাদের কাজের তালিকা দেয়ার ভিত্তিতে। এর মানে কোন খাতে কত টাকা তারা খরচ করবেন সেটার তালিকাপ্রাপ্তির সাপেক্ষে এ টাকা ছাড় করবে সরকার।
অনুষ্ঠান শেষে ওবাদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মেট্রোরেলের নির্মাণ শেষ করতে পারব। এজন্য জাপানের সংস্থা জাইকা কাজ করছে। তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনায় কাজ কিছুটা পিছিয়েছে। এখানে কারো কোনো হাত ছিল না। তবে এবার কাজের গতি ফিরে পাবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এমআরটি লাইন- ৬ হচ্ছে এলিভেটেড মেট্রোরেল সিস্টেম। রাজধানীর উত্তরা থেকে মিরপুর ও ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এ মেট্রোরেল ১৬টি স্টেশনে থামবে।
দ্রুতগতির এ মেট্রোরেল প্রতি চার মিনিট পরপর একটি স্টেশনে থামবে এবং প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এমআরটি- ৬ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা দেবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকার যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার।