অবশেষে ঘুম ভাঙ্গলো প্রতিমন্ত্রী তারানা’র
স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে ঘুম ভাঙ্গলো ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এর। অথচ ততোদিনে রোহিঙ্গারা মোবাইল সিম ব্যবহার করে যা অপকর্ম করার তা সরে ফেলেছে। এখনও রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে মোবাইল সিম। বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিনই।
ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কোন ব্যক্তি বা খুচরা সিম বিক্রেতা রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।তবে মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ সুবিধা দিতে প্রত্যেক ক্যাম্পে টেলিটকের বুথ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের কাছে মোবাইল সিম বিক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং সংক্রান্ত সভা শেষে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
তারানা হালিম হুঁশিয়ার করে বলেন,’যাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা সিম রোহিঙ্গাদের হাতে গেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা শরণার্থীদের জন্য মানবিক। তাদের যোগাযোগের বিষয় নিয়ে আমরাও আন্তরিক। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি সিম ব্যবহার করছে-সম্প্রতি এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
কিছু ব্যক্তি নিজের নামে নিবন্ধিত সিম বেশি দামে রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করেছে, খুচরা সিম বিক্রেতারাও এতে জড়িত। কিন্তু এটা অপরাধ। মোবাইল অপারেটরদের টাওয়ারভিত্তিক ১ জুলাইয়ের পর সেই এলাকায় যেসব সিম সচল হয়েছে তা শনাক্ত করা হচ্ছে। বিক্রেতাদের তালিকাও আমাদের কাছে আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন,’রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মানবতা ও নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শরণার্থীদের ক্যাম্পগুলোতে টেলিটকের বুথ বসানো হবে। এসব বুথে খুব অল্প পয়সায় রোহিঙ্গারা মোবাইলফোন সুবিধা পাবে। তবে দেশের বাইরে কল করার সুবিধা দেয়া হবে না। বুথগুলোরজন্য আগামী তিনদিনের মধ্যে ওই এলাকায় টেলিটকের টুজি নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করা হবে।’
ইতোমধ্যে এই নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য বিটিআরসির একটি টিম ক্যাম্প এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এই পদেক্ষেপের বাস্তবায়ন তদারক করতে তারানা হালিম নিজেই পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।