অবশেষে এরশাদ খালাস
হাইকোর্ট রিপোর্টার : রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপহার দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার রায় বাতিল করে তাকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চ দুই যুগের পুরনো এ মামলার রায় ঘোষণা করে। এরশাদের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আপিল হাই কোর্ট মঞ্জুর করেছে।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এরশাদের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন এরশাদ। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক।
গত ৯ মার্চ হাই কোর্টে এ মামলায় আপিল শুনানি শেষ হলে ২৩ মার্চ রায়ের দিন রাখা হয়। কিন্তু এরশাদের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল অনিষ্পন্ন থাকায় সেদিন আর রায় না দিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস মামলার সব ফাইল পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির কাছে।
পরে প্রধান বিচারপতি তিনটি আপিল একসঙ্গে নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চে পাঠান। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের মর্যাদায় রয়েছেন। বিএনপিবিহীন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার ভূমিকায় আছেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদ।