অফিস কলিগের সঙ্গে ফূর্তি করতে গিয়ে পাকরাও নারীবাজ সমাজসেবা কর্মকর্তা
নাটের প্রতিনিধি : নাটোরের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে সহকর্মী নারীসহ এক সমাজসেবা কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সমাজ সেবা কর্মকর্তার নাম মোঃ শাহাদত হোসেন। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মরত।এছাড়া আটক নারী সহকর্মীর নাম সুমা সরকার।
তিনি নাটোর জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের আওতাধীন প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রের টেকনিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নাটোর থানা পুলিশের একটি টিম শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে অবস্থিত গোল্ডেন সিটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার মোঃ মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, শাহাদত হোসেন ও সুমাকে হোটেল কক্ষে থাকতে দিয়ে তাদের এ ধরনের অনৈতিক কাজে সহায়তা করার জন্য হোটেলের ম্যানেজার মোঃ মুরাদ হোসেনকেও আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, চুয়ডাঙ্গায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ৬ বছর পূর্বে সুমা সরকারের বিয়ে হয়। তার ৩ বছর বয়সী যমজ দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে। সে নাটোর জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের আওতাধীন প্রতিবন্ধী পুণর্বাসন কেন্দ্রে টেকনিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে চাকরি করেন।
সূত্র জানায়, গুরুদাসপুরের সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন ১০ বছর আগে বিয়ে করেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। ওই কর্মকর্তা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কর্মরত অবস্থায়ও নারী কেলেংকারির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখান থেকে তাকে গুরুদাসপুরে বদলী করা হয়।
গুরুদাসপুর সমাজসেবা অফিসের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে যোগদানের পর থেকে শাহাদত ও সুমার মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এছাড়া শাহাদত বিভিন্ন সময়ই অফিস কক্ষে অনেক মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময় গল্পে নিয়োজিত থাকেন, ওই সময় অন্যদের অফিসে প্রবেশ নিষেধ ছিল।
নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তার এমন অনৈতিক কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না, তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী সব ব্যবস্থাই নেয়া হবে।