• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অতিদ্রুত নির্বাচন দাবি বিএনপির


প্রকাশিত: ১২:৫৪ এএম, ৯ নভেম্বর ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার : সাত নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় র‌্যালি শুরু করে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করে বিএনপি। এদিন রাজধানীর নয়া পল্টন থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাপ্তির ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে ৭ নভেম্বর দিবসটি পালন করে বিএনপি। দলীয়ভাবে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দলটি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অফিসের দিন থাকায় বিএনপি শুক্রবার (৮ নভেম্বর) র‌্যালি করেছে।

বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে র‌্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। অস্থায়ী ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডন থেকে উদ্বোধন করেন তারেক রহমান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে রাজপথের সমাবেশ, মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, আজকের মিছিল দেশের স্বার্থরক্ষার মিছিল।’ বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি একটি বিষয়ে স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সতর্ক থাকতে চাই—সেটি হলো গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনও কিন্তু থেমে নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে, প্রশাসনে এখনও সক্রিয়।’

সমাপনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বিপুল অংশগ্রহণের জন্য নেতাকর্মী ও আগতদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, ঢাকার ৮টি জেলার নেতাকর্মী ও আপমর জনসাধারণ, আপনাদের বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে জাতির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নতুন করে শপথ নিলেন, আজকে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে শপথ নিলেন।’
সব দলের প্রতি ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাবো, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘অতি দ্রুত সংস্কার ও অবাধ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার গঠন করতে পারবো।’ বক্তব্য শেষে মির্জা ফখরুল তার দল ও নেতা নিয়ে স্লোগান দেন। ফখরুল তা বক্তব্যে যখন র‌্যালির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা দেন, তখনও র‌্যালি চলছিল। এসময় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ গেট এলাকা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ বিপুল জমায়েতে ভরে ওঠে।

র‌্যালির শেষ পর্বে ভার্চুয়ালি লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি স্থানীয় সময়ে জুমার নামাজে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
মির্জা ফখরুলের আগে বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকের র‌্যালি প্রমাণ করেছে আমরা সব বাধা মোকাবিলা করতে পারবো।’ এসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আজকে মূলত শোডাউন করেছে বিএনপি। এই আয়োজনে যুবদল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগানে মুখরিত করেন রাখেন পুরো সময়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে বিরতিহীন স্লোগানে মেতেছেন নেতাকর্মীরা।

র‌্যালিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ছুটির দিনেও শহড়জুড়ে যানজট ছিল। নয়া পল্টন থেকে র‌্যালি কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন মোড়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টাল, বাংলামোটর, কাওরান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এসে শেষ হয়। এ কারণে মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন, পান্থপথ, গ্রিন রোড, মিরপুর রোডসহ নানা সড়কে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।