• শনিবার , ২৭ জুলাই ২০২৪

মাংসের টুকরোগুলো মানুষের


প্রকাশিত: ৮:১১ পিএম, ১০ জুন ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯ বার

 

 

কলকাতা প্রতিনিধি : কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার তদন্তকালে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার মাংসের টুকরোগুলো মানুষের বলে জানা গেছে। তবে সেটি এমপি আনারেরই কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। ডিএনএ পরীক্ষার পরেই সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।গত মে মাসে কলকাতায় গিয়ে খুন হন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল আজীম আনার। অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে জানা যায়, হত্যার পর টুকরো টুকরো করা হয় এমপি আনারের নিথর দেহ। এরপর মাংসের টুকরো ফেলা হয় সঞ্জীবা গার্ডেনসের কমোডের ভেতর এবং পার্শ্ববর্তী বাগজোলা খালে ফেলা হয় হাড়গুলো।

এদিকে টানা অভিযান চালিয়ে গত রোববার কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে সিআইডি। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম।উদ্ধার হাড়গুলো মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মানুষের হলে সেগুলো এমপি আনারের কি না তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হতে পারে।
এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্তে কলকাতায় গিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক ভাঙতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। সেই অনুসারে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে গত ২৮ মে বেশ খানিকটা মাংসের টুকরো উদ্ধার করে সিআইডি।পচে যাওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের কি না তা জানতে পাঠানো হয় ফরেনসিক পরীক্ষায়।

ঢাকায় ফেরার আগে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডিকে অনুরোধ করে কমোড, সেপটিক ট্যাংক ও স্যুয়ারেজ লাইন পরীক্ষা করা হয়। এরপরেই সেপটিক ট্যাংক থেকে কয়েক টুকরো মাংস পাওয়া হয়।তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংস এমপি আনারের মনে করা হলেও এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে ফরেনসিক এবং ডিএনএ টেস্ট জরুরি। নমুনা এরই মধ্যে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল) পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টও করা হবে।

সূত্র বলছে, ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার মাংসের টুকরোগুলো মানুষের।উদ্ধার মাংস ও হাড়গোড় এমপি আনারের কি না তা জানতে এখন ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সেক্ষেত্রে এমপি আনারের মেয়ে অথবা তার ভাইয়ের রক্তের নমুনা নেওয়া হতে পারে। সে কারণে বাংলাদেশে অবস্থানরত এমপি আনারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিআইডি সূত্র।

আনারের ডেডবডি সনাক্ত হলে সব বেরুবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

এদিকে কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ শনাক্ত হলে অনেক কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।সোমবার (১০ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার একটি খাল থেকে হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে বলেছিলেন সত্যের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। সেই কাছাকাছিটা কতদূর- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তো এখনো বলছি সত্যের কাছাকাছি এসে গিয়েছি। ডেডবডিটা সুনিশ্চিত হলেই আপনাদের কাছে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারবো।

তিনি বলেন, যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের নিজের মুখে আমরা যা শুনেছি, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে তারা যা বলেছেন, তারা মরদেহকে অনেক খণ্ড-বিখণ্ড করেছে। সেগুলো কোথায় রেখেছে প্রথমে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী এবং ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীও সেখানে গিয়েছিল। যেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো ডিএনএ টেস্ট ছাড়া বোঝা যাবে না, সুনিশ্চিত হতে পারবো না এগুলো আমাদের সংসদ সদস্যের দেহাংশ কি না। ডিএনএ টেস্টের পরেই বলতে পারবো এ মাংস খণ্ড তার কি না।