• সোমবার , ২০ জানুয়ারী ২০২৫

ফখরুলের শপথ না নেয়ার নেপথ্যে কে?


প্রকাশিত: ৯:৩২ পিএম, ৩০ এপ্রিল ১৯ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার

সংসদ রিপোর্টার : অবশেষে বিএনপি ফখরুল এর ‘এমপি’ বাতিল! হেলায় হারালেন এমপি পদ। অপমান করলেন ভোটদাতা জনগনকে। বিধি অনুযায়ী মির্জা ফখরুল ইসলাম এর আসন শুন্য হয়ে গেলো।জানা গেছে, নির্বাচিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নেওয়ায় এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে সংসদ অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসনটি শূন্য হয়ে গেল, ফলে বগুড়া-৬ আসনটিতে নতুন করে ভোটের উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন।

ওদিকে ফখরুলের শপথ না নেপথ্যে নতুন রহস্য শুরু হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। কিন্তু কি সেই রহস্য-তা শিগগির খোলাসা হবে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত পাঁচজন সংসদ সদস্য নানা নাটকীয়তার পর শপথ নিলেও দলটির মহাসচিব ফখরুল নেননি।তিনি বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই তিনি শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। এটা তাদের ‘কৌশলেরই অংশ’।সংবিধানের ৬৭ (১) এর ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে না পারলে ওই সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে। তবে এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন।

একাদশ সংসদের কার্যক্রম গত ২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়ায় ৯০ দিনের সেই সময়সীমা সোমবার পেরিয়ে যায়। শেষ দিনে বিএনপির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেন, তার তিন দিন আগে নেন অন্যজন।বিএনপি মহাসচিব শপথ নিতে কোনো আবেদনও করেননি বলেও জানান স্পিকার। পরে মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন না।

রাতে সংসদের অধিবেশনে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ৯০ দিনের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিতে অসমর্থ হওয়ায় তার আসনটি শূন্য হয়েছে।জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী তা সংসদকে জানাতে হয়; সেটাই জানান স্পিকার।

কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮ (৩) বিধিতে বলা আছে, যদি কোনো সদস্য তার আসন থেকে পদত্যাগ করেন কিংবা সংসদের অনুমতি না নিয়ে একাধিক্রমে ৯০ দিন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন, কিংবা সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের (১) (ক) দফায় উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথগ্রহণ করতে ও শপথ-পত্রে স্বাক্ষর প্রদান করিতে ব্যর্থ হন কিংবা অন্য কোনোভাবে সদস্য না থাকেন, তাহলে সংসদ অধিবেশনে থাকলে স্পিকার তা সংসদের গোচরে আনবেন। তবে শর্ত থাকে যে, সংসদ অধিবেশনে না থাকলে পরবর্তী অধিবেশন আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্পিকার সংসদকে জানাবেন যে, অধিবেশন মধ্যবর্তী সময়ে ওই সদস্য পদত্যাগ করেছেন বা সদস্যপদ হারিয়েছেন।

এরআগে সোমবার শপথ নেন বগুড়া-৪-আসনের মো. মোশারফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২-এর আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এর মো. হারুন উর রশীদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঞা। গতকাল বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ পাঠ করান। পরে তারা জানান, দলের সিদ্ধান্ত এবং জনগণের ইচ্ছাতেই যোগ দিয়েছেন সংসদে। শপথ নেয়ার পরপরই চলমান সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন বিএনপির চার সংসদ সদস্য। অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচিত হারুন উর রশীদ।তার আগে, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির জাহিদুর রহমান এবং ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নিয়েছিলেন।