নিউইয়র্ক প্রতিনিধি : বারাক ওবামা। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তিনি। বিশ্বের ক্ষমতাধর ওই ব্যক্তিকে খুন করার ঘোষণা দেওয়ার আগে মানুষ হাজারো বার ভেবে দেখবেন- এর পরিণাম কী হতে পারে। ৫৫ বছরের এক মার্কিন নাগরিক কিছু না ভেবেই বারাক ওবামাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, তাকে নাকি হত্যা করা তার ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব’।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের তোমাহ শহরের বাসিন্দা ব্রায়ান ডি ডাটচারকে (৫৫) এ জন্য বেশ ঝামেলাও পড়তে হয়েছে। প্রেসিডেন্টকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে স্থানীয় পুলিশ।
কিন্তু কী কারণে তিনি ওবামার ওপর ক্ষেপেছেন? টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ওবামা সম্প্রতি ওভার টাইম বেতন কাঠামোর সংস্কারের প্রস্তাব দেন। আর তাতেই তিনি অগ্নিমূর্ত।
বুধবার উইসকনসিনের লা ক্রসসি পাবলিক লাইব্রেরির নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা এক কর্মীকে উদ্দেশ করে উচ্চস্বরে ব্রায়ান ডি ডাটচার বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদকারী এখানে হাজির। আমার যদি সুযোগ থাকত তাহলে, আমি তাকে (ওবামা) বাইরে বের করে আনতাম এবং গুলি করে হত্যা করতাম।’
এ ব্যাপারে একটি মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ‘ডাটচার এর আগে ফেসবুক পেজে লেখেন, এটাই সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার আমি লা ক্রসসিতে যাব। আশা করছি, আমি ভ- প্রেসিডেন্টকে সেখানে গুলি করার সুযোগ পাব। তার খুন করা আমার সাংবিধানিক কর্তব্য।’
সেই সময় ওবামা লা ক্রসসিতে না থাকলেও পুলিশ বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ডাটচার জানিয়েছেন, লা ক্রসসির একজন পুলিশ সদস্য তার ওই হুমকিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন।
কিন্তু এত কিছুর পর বিষয়টি তেমন আলোচনায় আসেনি। বৃহস্পতিবার যখন তিনি ফের ফেসবুকে লেখেন, ‘তিন মাস ধরে আমি ডিসি (রাজধানী ওয়াশিংটনে) যাওয়ার প্রার্থনা করছি। এর জন্য ৮০০ মাইল ভ্রমণ করতে হবে। আমার মিশন সফল হওয়ার জন্য প্রার্থনা করবেন।’
ঘটনাটা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তথসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।