• মঙ্গলবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪


প্রকাশিত: ৪:৩৩ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০০ বার

hang-1  jhalkathi-বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা :ঝালকাঠির সাবেক পিপি ও জেলা জামায়াতের সাবেক আমির হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় জেএমবির পাঁচ সদস্যকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ বুধবার আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—বরগুনার বেল্লাল হোসেন (পলাতক), ঢাকার ছগির হোসেন (পলাতক), বরগুনার আবু শাহাদাৎ মো. তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান, খুলনার মুরাদ হোসেন ও আমীর হোসেন। তাঁদের প্রথম দুজন পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এম আলম খান কামাল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন এ কে এম লুৎফর রহমান ও মনজুর হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল নয়টায় জেএমবির আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহেল আহম্মেদ এবং জগন্নাথ পাঁড়ে।

এ মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমানসহ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমদ।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন তৎকালীন সরকারি কৌঁসুলি হায়দার হোসাইন।

মামলার বিচার চলাকালে আসামিরা হায়দার হোসাইনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইসহ শীর্ষ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ২১ মার্চ।

ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়ার ২০ দিন পর ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল এশার নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে পিপি হায়দার হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করে জেএমবির ক্যাডাররা। এ ঘটনার পরের দিন নিহত হায়দারের একমাত্র ছেলে তারিক বিন হায়দার বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন হত্যা ঘটনার প্রায় তিন বছর পর ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির এই পাঁচ সদস্যকে (সাজাপ্রাপ্ত) দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ৫৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ নিয়ে আজ বুধবার আদালত রায় ঘোষণা করেন।