’জুতা পায়ে শহীদমিনার বেদিতে ওঠেনি বিএনপি নেতাকর্মীরা’
স্টাফ রিপোর্টার ; একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা জানানোর সময়ে কেউই প্রথা ভেঙে জুতা পায়ে বেদিতে ওঠেনি বলে দাবি করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠার অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই সেখানে (শহীদ মিনারে) ছিলাম। আমরা নিজেরাও সেখানে দায়িত্ব পালন করেছি। শহীদ মিনারের যে মার্যাদা সেটা অক্ষুণ্ন রাখতে আমরা সেখানে অবস্থান করেছি। সেখানে কাউকে জুতা পায়ে আসতে দেখিনি।’রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফুল দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রেখেছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু সেই স্থানে ফুল না দিয়ে খালেদাসহ দলের নেতা-কর্মীরা মূল বেদিতে ওঠার চেষ্টা করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীদের হাতাহাতি হয়। এতে রোভার স্কাউটের সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, শহীদ বেদিতে খালি পায়ে ওঠার রেওয়াজ থাকলেও সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনেকেই জুতা পায়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘মিডিয়া এ বিষয়ে একটি বানোয়াট ফুটেজ দেখিয়েছে। কারণ, অনেক মিডিয়ার মালিক হচ্ছে সরকারি দলের অত্যন্ত অনুগ্রহভাজন ও প্রিয়ভাজন। একটি বিশেষ দিবস উপলক্ষে তারা বিএনপির ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে চায়।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একুশ হচ্ছে আমাদের প্রথম জাতিসত্ত্বার পরিচয়ের দিন। আর আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত যে পরিণতি তার প্রথম সোপান হচ্ছে আমাদের ভাষা আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ।