• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

‌’৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক হবে’


প্রকাশিত: ১০:৫১ পিএম, ২ ডিসেম্বর ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

Young woman looking at Facebookবিশেষ সংবাদদাতা:   ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর প্রতি অবমাননা ও সাইবার সন্ত্রাস রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে করণীয় সম্পর্কে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের পরামর্শ চাইবে বাংলাদেশ।আগামী ৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে এ বৈঠক হবে বলে তিনি জানান।বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাল্য বিয়ে বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নেতিবাচক ব্যবহার রোধ করার উপায় নির্ধারণের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাইবার সন্ত্রাস কমানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে নারীর অবমাননাকর উপস্থাপনা বন্ধের বিষয়টিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। কারণ এর সাথে একটি মেয়ের জীবন-মৃত্যু জড়িয়ে আছে। যখন এ ধরনের কোন ঘটনা ফেসবুকে ঘটে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি বন্ধ করা সম্ভব না হলে মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ ক্ষেত্রে আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণের কৌশল জানতে চাইবো।

তিনি বলেন, আমরা এর আগেও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এর আগে কোন সাড়া দেয়নি। বিটিআরসি থেকে চিঠি দিলেও কর্তৃপক্ষ কোন জবাব দেয়নি। আমি নিজেই যখন চিঠি দিয়েছি তখন সাড়া পেয়েছি। ফেসবুকের পলিসি এ্যাডভাইজার আমাদের ইমেইল করে জানিয়েছেন ৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

বৈঠকে আমরা সাইবার সন্ত্রাস, বুলিং এসব বন্ধ করতেও তাদের পরামর্শ চাইবো। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের চিঠি পাঠানোর একদিন পরই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে।

ফেসবুক কবে খোলা হবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারী নির্দেশে ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। পুনঃনির্দেশ পেলেই আমরা ফেসবুক খুলে দেব। বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ফেসবুক ব্যবহার না করতে পারলে এমন কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ রেখে যদি মানুষের জীবন বাঁচানো যায় তার জন্য সবারই ধৈয্য ধরা উচিত।
তারানা হালিম বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান।