’একজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে অন্য অনিবন্ধিত সিম নিবন্ধন করা হয়েছে’
স্টাফ রিপোর্টার : ’একজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে অন্য অনিবন্ধিত সিম নিবন্ধন করা হয়েছে’ -অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন ও ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি উপ-কমিটি নামে দুটি সংগঠন।শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর নেতারা এ দাবি করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ।
তিনি দাবি করেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গভাবে সিম নিবন্ধন করা হয়নি। কারণ অনেক গ্রাহকের আঙ্গুলের বর্তমান ছাপের সঙ্গে দশ বছর আগের এনআইডি করার সময় দেয়া আঙ্গুলের ছাপে মিল না থাকায় সিম নিবন্ধন করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে টাকা নেয়ার বিধান না থাকলেও আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি সিম নিবন্ধনে ২০-২৫ টাকা থেকে শুরু করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০-১০০টা পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। যার ফলে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ হাতিয়ে নিয়েছে রিটেইলাররা।
সংবাদ সম্মেলনে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানান তারা এবং সিম নিবন্ধন সঠিকভাবে হয়েছে কিনা তা যাচাই করার জন্য হাইকোর্টের একজন অবসর প্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে পর্যালোচনা কমিটির গঠনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গ্রাহক এসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক কাজী আমান উল্লাহ মাহফুজ উপস্থিত ছিলেন।