৯৮ বাংলাদেশি হাজি রহস্যজনক নিখোঁজ
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: সৌদি আরবের মিনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর থেকে ৯৮ জন বাংলাদেশি হাজি নিখোঁজ আছেন। হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজা হলেও এখন পর্যন্ত এদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের হজ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পরই বিভিন্ন উৎস, হটলাইনে করা ফোন ও পরিবারের স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজ মোট ১২৮ জন হাজির তালিকা তৈরি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। কিন্তু ৯৮ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আসাদুজ্জামান বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ কোনো বাংলাদেশি হাজির মৃত্যুর খবর দূতাবাসকে নিশ্চিত করেনি। তবে জামালপুরের ফিরোজা খানমের মৃত্যুর ব্যাপারে তারা ওই পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও আটজন হাজির মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে। যদিও দূতাবাস এদের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি।
ফিরোজা খানমের ছেলে খন্দকার মাজহারুল ইসলাম পদদলিত হয়ে তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি দূতাবাসকে জানিয়েছেন, সৌদিতেই তাঁর মায়ের দাফন হবে।ওই কর্মকর্তা জানান, সৌদি কর্তৃপক্ষ তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত হতাহতের তালিকায় কত জন বাংলাদেশি আছেন সে ব্যাপারে কিছু বলা যায় না।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিখোঁজ হাজিদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে সব নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ করবে।এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সৌদি আরবের আল নূর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহত ৮২ জনের ছবি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকেরা ছবির সঙ্গে নিখোঁজ বাংলাদেশিদের ছবি মিলিয়ে দেখেছেন। কিন্তু এই ৮২ জনের সঙ্গে নিখোঁজ হাজিদের ছবির কোনো মিল নেই।
তিনি বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিক ভাবে ছবি প্রকাশ করবে। নিহতদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করবে। সেখান থেকে বাংলাদেশি হাজিদের ব্যাপারে জানা যাবে।সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে পরিবারের পক্ষ থেকে নিহত অপর ৮ জন হাজি হলেন সুনামগঞ্জের জুলিয়া হুদা, মুন্সিগঞ্জের জাহানারা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলাম মোস্তফা, দিনাজপুরের কুরমত আলী, ফেনীর তাহেরা বেগম ও নুরনবী, শরিয়তপুরের রাজ্জাক ও হাসিনা আক্তার।
সৌদি আরবে হজের সময় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য যাওয়ার পথে মিনার ২০৪ নম্বর সড়কে পদদলিত হয়ে ৭১৭ জন নিহত ও আট শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।