‘৯৫% সীমান্ত হত্যা হচ্ছে গরু চোরাচালানের কারণে’
বিশেষ প্রতিনিধি : বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ৯৫% সীমান্ত হত্যা হচ্ছে গরু চোরাচালানের কারণে। গরু চোরাচালান বন্ধ করা গেলে সীমান্ত হত্যা রহিত করা যাবে। এ বছর বিএসএফ’র গুলিতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। ১৫৭ জন আহত হয়েছে। গত বছর ৪৫ জন নিহত হয়েছিল। প্রতিবছর এ সংখ্যা কমে আসছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বিজিবি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
নয়াদিল্লীতে সদ্য সমাপ্ত সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রতি রাতে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ন্যুনতম ১৫০০ গরু আসে। কিন্তু এই কোরবানির ঈদে চারশ’-পাঁচশর বেশি গরু আসতে দেওয়া হয়নি। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নাই, টহল দেওয়ার জন্য সড়ক নাই। যেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নাই এবং নদী আছে সেসব এলাকা দিয়ে গরু চোরাচালান বেশি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বারবার বলেছি একটু রাস্তা এবং কাঁটাতারের ব্যবস্থা করার জন্য। সরকারকে আমরা সে প্রস্তাবও দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ২৮৩ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। অর্থ পেলে আমরা মিয়ানমার-বাংলাদেশ টেকনাফ সীমান্ত থেকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া শুরু করবো। ভারত তাদের ৭৯ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া দিয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করছে। একদিনে করেনি। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হয়।
ভারতকে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের তালিকা দেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ওই সম্মেলনে আমরা ১২০০ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের তালিকা বিএসএফকে দিয়েছি। সেই তালিকায় সবার নাম নাম রয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালক ১২০০ অপরাধীর তালিকার কথা বললেও পরে সদর দফতর থেকে ২৩০ জনের তালিকার কথা বলা হয়।
বিজিবির কেউ চোরাচালানে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনও অভিযোগ আসলে এবং তা প্রমাণিত হলে ওই বিবিজি সদস্যকে সরাসরি চাকরিচ্যুত করা হয়। আমাদের বরখাস্তের কোনও নিয়ম নাই। গত পৌনে চার বছরে আমি ২৫ থেকে ৩০ জনকে চাকরিচ্যুত করেছি।