৯বছর পর টাইগাররা সিরিজ জিতলো
আর এইচ মানব : অবশেষে ৯ বছর পর ফের দেশের বাইরে সিরিজ জিতলো টাইগাররা। সেন্ট কিটসে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ সালের পর এশিয়ার বাইরে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় করলো মাশরাফি-তামিমরা। ওদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার বছর ধরে কোনো সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি।
শেষ দুই ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৪ রান। রুবেলের করা ৪৯তম ওভার থেকে মোটে ৬ রান নিতে পারেন পাউয়েল ও নার্স। শেষ ওভারে ক্যারিবীয়দের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৮ রান। মুস্তাফিজের করা শেষ ওভার থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ৯ রান নিতে সক্ষম হয়। এতে ১৮ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩০১ রান তোলে। বাংলাদেশ পক্ষে তামিম ইকবাল ১২৪ বলে ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন।এছাড়া মাহমুদুল্লাহ খেলেন অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা ৩৬ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন। দলের পক্ষে আগের দুই ম্যাচে ফিফটি পাওয়া সাকিব করেন ৩৭ রান।
জবাবে ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও ইভান লুইস ভালো শুরু করেন। ১০.১ ওভারেই তারা তুলে ফেলেন ৫৩ রান। এরপর মাশরাফির দারুণ এক বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লুইস। অপর প্রান্তে থাকা গেইল অবশ্য একাই দলকে টেনে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ৬৬ বলে ৭৩ রান করা গেইলকে মেহেদির ক্যাচে পরিণত করেন রুবেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘ব্যাটিং দানব’ ফিরে যাওয়ার আগে পাঁচটি ছয় এবং ছয়টি চারের মার মারেন। ২১.৫ ওভারে দলীয় ১০৫ রানের মধ্যে গেইল একাই করেন ৭৩ রান। গেইলের আউটের পর হেটমায়ার ও শাই হোপ দলের হাল ধরেন। তাদের জুটি থেকে আসে ৬৭ রান।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা হেটমায়ার ৪২ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ধীর গতিতে এগোতে থাকা শাই হোপ ৯৪ বলে ৬৪ রান করে ফেরেন মাশরাফির বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৪৩.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৪। হোপের আউটের পর দলের হাল ধরেন রোভম্যান পাওয়েল। তিনি শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৭৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬৩ রানে ২ উইকেট নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। এছাড়া রুবেল হোসেন ৭ ওভারে ৩৪ রানে নেন ১ উইকেট। মেহেদি মিরাজ ও মুস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট। দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া তামিম হন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। এছাড়া সিরিজের তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ২৮৭ রান করায় সিরিজ সেরাও হন তামিম।