• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

৮ লাখ ব্যবসায়ী আয়কর দেননা- অর্থমন্ত্রীর ভ্যাট ফাঁপড়ে ব্যবসায়ীরা


প্রকাশিত: ৭:২৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  ভ্যাট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ফাঁপড়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পরস্পর বিরোধী বক্তব্য Muhit-www.jatirkhantha.com.bdচলছে এনিয়ে। অর্থমন্ত্রী ক্ষোভের বসে বলেই বসেছেন ৮ লাখ ব্যবসায়ী আয় কর দেন না। অথচ এই ব্যবসায়ীরা সকলেই আয়কর দিতে পারেন এমন অবস্থা তাদের রয়েছে।

নতুন ভ্যাট আইন (মূসক) বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে পাল্টাপাল্টি হুমকি দিয়েছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) এ মূসক সমস্যার সমাধানে আয়োজিত বৈঠকে সমাধান না হয়ে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব জড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরা নেতারা।

নতুন ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবু মোতালেব বলেছেন, এমন আইন বাস্তবায়ন করা যাবে না, যেটা হলে ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়।ঐক্য পরিষদের সভাপতির বক্তব্যে জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, যদি আপনারা আন্দোলন করেন, তবে আমরা তা দমন করব।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায় অর্থমন্ত্রী ও ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ ধরনের মন্তব্য করেন।  এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) এ সভার আয়োজন করে। এতে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।

সভার এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবু মোতালেব বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদাভাবে খেয়াল রাখতে হবে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে সরকার। অথচ কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। দাতা সংস্থা আইএমএফের প্রকল্প রয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য।

কিন্তু কাউকে কোনো প্রশিক্ষণ না দিয়ে কি করে এই আইন বাস্তবায়ন হবে- এই প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, এমন আইন বাস্তবায়ন করা যাবে না, যেটা হলে ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। এর আগে ভ্যাট আইন নিয়ে ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছিল। আমরা নামতে চাই না। এতে দেশের ক্ষতি, আমাদেরও ক্ষতি। এ সময় নজিবুর রহমান তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বক্তব্য চালিয়ে যান আবু মোতালেব। এর প্রেক্ষিতে ক্ষেপে যান অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, অনেক বলেছেন। কিছু করতে পারবেন না, আন্দোলন করেন কিছু হবে না। দেশে ৮ লাখ আয় কর দেওয়ার মতো ব্যবসায়ী রয়েছেন, ভ্যাট দেয় মাত্র ৩২ হাজার। আপনারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কতজন ভ্যাট দেন? যদি আপনারা আন্দোলন করেন, তবে আমরা তা দমন করব। এ সময় ব্যবসায়ীরা হইচই বাধিয়ে দেন। অনেকে পিছন থেকে বলতে থাকেন আমাদের ডেকেছেন কেন। বের করে দেন। ব্যবসায়ীদের সমস্যা দেখবেন না তাতো হতে পারে না।

এরপর এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিঊল ইসলাম মহিউদ্দীন ব্যবসায়ীদের থামানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, হাসিনা সরকার ব্যবসা বান্ধব সরকার। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয় এমন কিছু তিনি (প্রধানমন্ত্রী) করবেন না।

পরবর্তী সময়ে সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আবু তালেবের বক্তব্য আমার পছন্দ হয়নি। তিনি থ্রেট দিয়েছেন। এটা মোটেও ঠিক হয়নি। তিনি যুদ্ধ বাধিয়ে দিবেন, এমন একটা ভাব। এটা ঠিক না। আমরা এথানে বসছি আলোচনা করতে। তাহলে এ ধরনের কথা কেন, ভবিষ্যতে এটি খেয়াল রাখবেন। যেন এই টাইপের কথা না হয়।এরপর ‘আই এম সরি টু সে’ বলে বক্তব্য শেষ করেন অর্থমন্ত্রী। বক্তব্য শেষ করেই তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেড়িয়ে যান।