৮ জেএমবির জিঘাংসায় খিজির হত্যা-রিমান্ডে জেএমবি কমান্ডারের তথ্য
বিশেষ প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এদিকে রিমান্ডে জেএমবি কমান্ডার তরিকুল খিজির হত্যাকান্ড আট জেএমবির জিঘাংসায় ফসল বলে গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন।
এর আগে ডিবির পরিদর্শক আজিজুর রহমান তরিকুল ও মো. আলেক ব্যাপারী নামে এ দুজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এ সময় তাঁদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গতকাল বুধবার টাঙ্গাইল থেকে তরিকুলকে এবং রাজধানী ঢাকার মিরপুর থেকে মো. আলেক ব্যাপারীকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গ্রেপ্তার করে।এদিকে আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, তরিকুল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম সংগঠক। ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় তিনি পাঁচ বছর কারাভোগ করেন। খিজির খান হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন আটজন। যে গাড়িতে করে হত্যাকারীরা এসেছিলেন, সেই গাড়ির চালক ছিলেন আলেক ব্যাপারী।
পুলিশের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, হত্যাকারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। একদল তিনতলায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দুটি ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিয়ে যায়। আরেক দল দোতলায় এক হয়ে খিজির খানকে গলা কেটে হত্যা করে।গ্রেপ্তার হওয়া দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ধর্মীয় মতাদর্শের কারণে তাঁরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।খিজির খানকে ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকার নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মধ্য বাড্ডার বাড়িটির তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন খিজির খান। এর দোতলায় রয়েছে ‘রহমতিয়া খানকাহ শরিফ (ঢাকা শাখা) ’। তিনি এই খানকাহ শরিফের পীর ছিলেন।