• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

৮০ লাখ মানুষের ডায়াবেটিস-দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মহামারি


প্রকাশিত: ১:১০ এএম, ১৫ নভেম্বর ১৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

 

diabates_banglanews24_584699318_107012দিনা করিম.ঢাকা:

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে মহামারি আকারে ডায়াবেটিস ছড়িয়ে পড়ছে। দেশে এই মুহূর্তে ৮০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সতর্ক না হলে এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন আলোচকেরা। সেমিনারটির আয়োজক ছিল ডায়াবেটিক সমিতি। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যসম্মত খাবার শুরু হোক সকালের নাস্তা থেকে’।

ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান বলেন, স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে ডায়াবেটিক সমিতি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ একটি মঞ্চ। সরকারের সহযোগিতা নিয়ে সমিতি কাজ করছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ জাতীয় একটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নীতিমালা করার অঙ্গীকার করেছিল।

নীতিমালাটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। দ্রুত অনুমোদন করা না হলে অঙ্গীকারটি কাগুজে অঙ্গীকার বলে মনে হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে দেশব্যাপী আক্রান্ত রোগীদের নাম নিবন্ধনের কাজ শুরু হয়েছে।

সমিতির মহাসচিব মো. সাইফউদ্দিন ডায়াবেটিস সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় সংযোজনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এতে ছাত্রছাত্রীরা সুস্থ জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারবে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। কোনো রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে তাঁর চিকিৎসা ডায়াবেটিসমুক্ত রোগীর তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।

dddddবারডেমের মহাপরিচালক নাজমুন নাহার বলেন, ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস এবং শহরাঞ্চলে খেলাধুলার সুযোগ কমে যাওয়ায় শিশু-কিশোরেরাও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি ডায়াবেটিস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার প্রক্রিয়ায় তরুণদের সম্পৃক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ডায়াবেটিক সমিতির প্রতি সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিক সমিতির কল্যাণে রোগটি সম্পর্কে গ্রামাঞ্চলের মানুষও এখন জানেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শাহনেওয়াজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অসংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সমন্বয়ক মোস্তফা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নাজমা শাহীন, ডায়াবেটিক সমিতিরি সহসভাপতি এ আর খান প্রমুখ।

পর্যাপ্ত ডিম খাওয়ার পরামর্শ: সুস্থতার জন্য সকালের নাশতায় শর্করাসমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প হতে পারে পর্যাপ্ত ডিম।বারডেম হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অসংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সমন্বয়ক মোস্তফা জামান এ তথ্য দেন।

মোস্তফা জামান বলেন, ‘অন্যান্য বেলার তুলনায় সকালে একটু বেশি খাওয়া উচিত। অনেকে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডিম খান না। তবে অনেক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে ডিম নিরাপদ খাবার। আমরা পেঁয়াজ সবজি হিসেবে খাই না। কিন্তু সকালের নাশতায় পর্যাপ্ত ডিমের সঙ্গে, সবজির মতো পেঁয়াজ খাওয়া যেতে পারে।

এ ছাড়া, বাদাম, লাউ-কুমড়ার বীজ, ডাল, সবুজ শাকসবজি, ধনেপাতা, আদা রাখতে হবে মেন্যুতে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁদের কোলেস্টেরল অনেক বেশি, তাঁরা এ জন্য এমনিই ওষুধ খেয়ে থাকেন। কাজেই ডিম খেলে তাঁদের কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নাজমা শাহীন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, রাতের বেলা ভরপেট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু সকালে ভরপেট খেলে দিনভর রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য থাকে।