৭৫ কোটি টাকার টেন্ডার ও কোন্দলে আত্মহত্যা করলেন ছাত্রলীগার দিয়াজ
চবি প্রতিনিধি : ৭৫ কোটি টাকার টেন্ডার ও দলীয় রাজনীতির নির্মম শিকারে শেষমেষ আত্মহত্যা করলেন চবি ছাত্রলীগ নেতা। চবি এলাকায় রাতে নিজ বাসার ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম দিয়াজ ইরফান চৌধুরী (২৫)। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। চবির ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে সম্প্রতি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মা, ছোট ভাই ও বোনদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকতেন তিনি।দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাতে বাসায় ছিলেন দিয়াজের ছোট ভাই। রাত ৯ টার পর ফ্যানের সঙ্গে তাঁর লাশ ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার দেন ছোট ভাই। এর পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিয়াজের মামা চবির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ বিন আমিন চৌধুরী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘দলীয় রাজনীতিতে একটি অংশের আর কত নির্যাতন সহ্য করবে ইরফান?’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর জানান, মৃত্যুর আগে ইরফান কোনো চিরকুট লিখে গিয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
চবির উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি শুনেছেন ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।সম্প্রতি চবির মানবিক বিভাগের বর্ধিত অংশ নির্মাণে ৭৫ কোটি টাকার দরপত্রকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়।
এ নিয়ে এক অংশের কর্মীরা ২৯ অক্টোবর দিয়াজ ইরফানসহ চার ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর চালায়। ওই চার নেতার পরিবারের সদস্যদেরও লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুকে দায়ী করা হয়েছিল। হামলার ঘটনায় দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী হাটহাজারী থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তবে সেই অভিযোগ পুলিশ আমলে নেয়নি বলে জানা গেছে।