৭দিনে চালের দাম কমবে:টিপু মুনশি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : দেশের বাজারে চালের দাম আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিবেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য মাঝখানে ২/৩ দিন যানবাহনের সমস্যা ছিল। এ কারণে চালের দাম বেড়েছে। আমি ও খাদ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার মিল মালিক, ধান ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যদের সাথে বসেছিলাম। তারা কথা দিয়েছে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে চালের দাম কমে আসবে।’
এ মাসে চালের দাম আর বাড়েনি— একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মোটা চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চিকন চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মোটা চাল খায়। এ কারণে আমাদের সব সময় টার্গেট থাকে মোটা চালের দাম স্থিতিশীল রাখা। সেটা আছে। তারপরও আমরা চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছি। আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গুদামগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ধান-চাল মজুদ রয়েছে। গত বছর যা মজুদ ছিল, এ বছর তার চেয়ে অনেক বেশি মজুদ আছে। সুতরাং চাল নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।’
বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে বাণিজ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখন আমাদের চীন ও ভারতের বাজার ধরার টার্গেট রয়েছে। এ দুটি দেশ আড়াই শ’ কোটি মানুষের দেশ। গার্মেন্টস সেক্টরে রফতানি বাণিজ্য ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আশা করছি, যদি আমরা এ দু’দেশের (চীন ও ভারত) বাজার যদি ধরতে পারি তাহলে রফতানিতে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া ২৫ কোটি মানুষের দেশ। সেখানে আমরা রফতানি বাণিজ্য করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি সফল হলেও আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।’
এর আগে দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে নবনিযুক্ত বাণিজ্যমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মীর্জাসহ গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।পরে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করেন। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।