• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

৫ লাখ টাকা ঘুষ দাও-সন্ত্রাসী ঠেকাব-ওসি বগুড়া


প্রকাশিত: ৭:৩৮ পিএম, ৩ মে ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৩ বার

বগুড়া প্রতিনিধি   :   সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি বগুড়া সদর থানার ওসির শীর্ষ নিউজ, বগুড়া: বগুড়া শহরের একটি দোকানে 1সন্ত্রাসী হামলা ঠেকানোর জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দোকান মালিক আলহাজ্ব এনামুল হক রঞ্জু।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, থানার ওসি হামলাকারীদের পক্ষ নেয়ায় আমার অথবা আমার পরিবারের কোন সদস্যের মৃত্যু হলে সেই মামলার প্রধান আসামী হবেন ওসি আবুল বাশার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এনামুল হক রঞ্জু বলেন, “শহরের নিউ মার্কেটের অংশে শহীদ রঞ্জু মার্কেটে ৪০ বছর ধরে ‘হক গার্মেন্টস’ নামে নিজস্ব দোকানে ব্যবসা করছি আমি। দোকান ঘরটি ২০০৪ সালে ঘর মালিকের কাছ থেকে পজিশন কিনে নেই। আমার বৈমাত্রেয় দুই ভাই এমদাদুল হক ও একরামুল হক বাবার ওয়ারিশ হিসেবে দোকান ঘরটি দখলে নিতে দীর্ঘদিন থেকে পাঁয়তারা করছে।

এ বিষয়ে গত ৫ এপ্রিল আমি সদর থানায়  লিখিত অভিযোগ দিলে সেটি সাধারন ডায়েরী ভুক্ত করা হয়। থানা থেকে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় গত ২০ এপ্রিল বৈমাত্রেয় দুই ভাই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দোকানে হামলা চালায়। এরপর তারা কর্মচারীদেরকে মারপিট করে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সাথে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে গেলে ওসি আবুল বাশার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অসদাচরণ করে আমাকে রুম থেকে বের করে দেন।

এরপর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকানোর জন্য আমার কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ওসি আবুল বাসার।”সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “থানার ওসির ঘুষ দাবি, অসদাচরণ এবং সন্ত্রাসীদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমনঅবস্থায় আমার কিংবা আমার পরিবারের কোন সদস্যের মৃত্যু অথবা ক্ষতি হলে প্রধান আসামী হবেন থানার ওসি আবুল বাশার।”

এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ওসি সাহেবের নির্দেশে দোকান ঘর নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে দুই দফা বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু এনামুল হক রঞ্জু এ বিষয়ে আদালতে মামলা করায় বৈঠকে কোন সমাধান করা যায়নি। ঘুষ দাবি করার বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা বলে রাজ্জাক দাবি করেন।