৩ লুটেরা-লুটপাট ৪০ কোটি-অবশেষে লালঘরে!
বিশেষ প্রতিনিধি : চুরি ও জালিয়াতি করে ৩ লুটেরা লুটপাট করে ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। দুদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এই জালিয়াতদের নানা কেলেংকারি। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পাকরাও করা হয়।
দুদক জানায়, অতিরিক্ত জমির পরিমান দেখিয়ে ৪০ কোটি টাকা আত্নসাত করা এবং স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বেতন-ভাতা ও বোনাসের টাকা লোপাটের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদক কর্মকর্তারা বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক দুর্নীতির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত এ তিনজন হলেন, রূপসা সার্ভেয়ার্স এর চিফ সার্ভেয়ার ও ম্যানেজিং পার্টনার, জীবন বীমা কর্পোরেশন সাবেক ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার-২ মো. নূরুল ইসলাম ভুঞা এবং চট্টগ্রামের মো. গোলাম ফারুক।
দুদক সূত্র জানায়, চিফ সার্ভেয়ার শাহজাহান আলী সৈয়দ ট্রেডার্স এর ১৮ দশমিক ৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তিকে ৩৬ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা দেখিয়ে মিথ্যা সার্ভে রিপোর্ট প্রদান করে। এরপর মেসার্স সৈয়দ ট্রেডার্স বেসিক ব্যাংক লি. এর শান্তি নগর শাখা থেকে ৪০ কোটি টাকা লোন নিয়ে আত্মসাত করে।
এই আত্নসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহজান আলীকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন-এর নেতৃত্বে উপ-সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা আ. স. ম. শাহ আলম তাকে গ্রেফতার করেন।
এদিকে জীবন বীমা কর্পোরেশন এর সাবেক ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার-২ মো. নূরুল ইসলাম ভুঞা কিশোরগঞ্জ-এ কর্মরত থাকাকালে তার অধীনস্থ সকল এজেন্ট, ডিও এবং ডিএমদের পাওনার সকল চেক সকল তিনি নিজে ইস্যূ করতেন।
২০০৩ এর জানুয়ায়ী ২০০৩ পর্যন্ত বেশ কিছু ডেভেলপমেন্ট অফিসার (ডিও) কর্মরত না থাকা সত্ত্বেও তাদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বেতন-ভাতা ও বোনাস বাবদ তাদের নামে বিল তৈরী করে তিনি নিজে বেয়ারার চেক এর মাধ্যমে জীবন বীমা কর্পোরেশন এর ব্যাংক একাউন্ট হতে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৮ শত ৯৭ টাকা আত্মসাত করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের ময়মনসিংহের উপ পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম-এর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান তাকে গ্রেফতার করেন।
অপর দিকে চট্টগ্রামের গোলাম ফারুক পাঁচলাইশ মৌজার ২৫ শতাংশ জমি লে: কর্ণেল (অব:) ডা: মো: ইমসাইল হোসেন ও তার স্ত্রী লে: কর্ণেল (অব:) ডা: রুনা বেগম-এর নিকট বিক্রি করেন। এরপর ওই জমির জাল দলিল দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লি: খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে বন্ধক রেখে ৫০ লাখ টাকা লোন নিয়ে আত্মসাত করেন।
যা বর্তমানে সুদাসলে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৪ টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা রইস উদ্দিন আহম্মেদ তাকে গ্রেফতার করেন।