• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২ বিদেশী হত্যাকান্ড-নজরদারিতে সফু-সোহেল ও শিবির নেতারা


প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ১৮ অক্টোবর ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫০ বার

বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:    দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে সিরিয়া-ইরাকভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কোনো হাত নেই এমনটা প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পর এতে বিএনপি নেতাদের প্র161622_1-400x266ত্যক্ষ বা পরোক্ষ যুক্ত রয়েছে কি-না তা সন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।এ জন্য বিএনপির সিনিয়র তিন নেতাকে অধিকতর নজরদারিতে রেখেছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, সিজার হত্যাকাণ্ডে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের পরই পরিচয় জানা যাবে।

আইনশংখলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য, মহানগরের সদস্যসচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সফুসহ জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকে সন্দেহ করা হচ্ছে।ঘটনার পর থেকেই তাদের ওপর নজরদারি চলছে। মামলার সুরাহার আগ পর্যন্ত তারা যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। এ জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিশেষ নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় আটককৃতদের মধ্যে বিএনপির ছাত্র সংগঠনগুলোর কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন চলতি বছরের শুরুতে দলের লাগাতার অবরোধ চলাকালে গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুর মামলার আসামি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে গুলি করে হত্যা করা হয় ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজারকে।

এর পাঁচদিনের ব্যবধানে রংপুরে হত্যা করা হয় জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিকে। ঘটনা দুটির পর আইএস এ ঘটনাগুলোর দায় স্বীকার করলেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ধারণা, এতে বিএনপিনেতারা জড়িত।
ঘটনা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনার তদন্তে জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক শক্তি এ কাজ করতে পারে।
এদিকে, সিজার হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর এক অনুষ্ঠানে ড. মঈন খান বলেন, সরকার পশ্চিমাদের কাছে মৌলাবাদের কথা বলে যে খাল কেটেছে সেখানেই তারা ডুবেছে। এর পরপরই নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে মঈন খানকে জিজ্ঞাবাসাবাদ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য এর পর থেকে আর প্রকাশ্যে আসছেন না মঈন খান। তিনি ঢাকার বাইরে আছেন বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেলেও তার সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। এ বিষয়ে মঈন খান, সোহেল ও সফুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার কারণে লন্ডনে অবস্থান করলেও এর সঙ্গে বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী। এছাড়া খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার তারিখ ৩-৪ বার পরিবর্তন হওয়াকে রহস্যজনক বলেও উল্লেখ করছেন কেউ কেউ। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন। চিকিৎসাশেষে তিনি দ্রুত দেশে ফিরে আসবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে বিএনপির নেতাদের জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়া মানে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করা। খুনিরা যদি আওয়ামী লীগের হয় তবে তারা কখনও ধরা পড়বে না।