২ ইয়াবা গডফাদারের তেলেসমাতি-ভুয়া জামিননামায় পলায়ন তদন্ত হচ্ছে
বিশেষ প্রতিনিধি : মোটা অংকের টাকার লেনেদেনে চট্টগ্রামে হাজিরানামার পরিবর্তে জামিননামা পাঠিয়ে পগাড়পার করে দেয়া হয়েছে দুই ইয়াবা গডফাদারকে। এনিয়ে তোলপাড় চলছে কারা অন্তরালে। কারা জিআরও’র অন্তরালে কুচক্রীদের চিহ্নিত করতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার হাজিরানামার পরিবর্তে জামিননামা পাঠানো অনুযায়ী কারাগার থেকে চাঞ্চল্যকর ইয়াবা মামলার দুই আসামির মুক্তির বিষয় খতিয়ে দেখতে এবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা সদর দফতরের আইজি প্রিজনের নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কারা উপ-মহাপরিদর্শক বজলুর রশিদকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন হবিগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারের জেলার আবদুল বারেক। আজ কমিটির সদস্যরা চট্টগ্রাম কারাগারে সরেজমিন এসে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক বুধবার যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে পুলিশের গঠিত তিন সদস্যের কমিটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পতেঙ্গা থানার জিআরও এএসআই মো. হারুন এবং কনস্টেবল বোরহানকে।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর কর্ণফুলী নদীতে র্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা হয় ৭ লাখ পিস ইয়াবা। গ্রেফতার করা হয় ৭ মাদক ব্যবসায়ীকে। ওই মামলার দুই আসামি সামছুল এবং শরীফ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৮ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত দেন যে, ১০ জানুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আসামিদের আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হাজিরানামা পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু জিআরও শাখা থেকে হাজিরানামার পরিবর্তে জামিননামা পাঠানো হলে দুই আসামি মুক্তি পেয়ে যান।