২৯ লক্ষ টাকা আত্মসাত মামলা দুদকের তদন্তে মিললো সাড়ে ৩ লাখ টাকা
সাইফুল বারী মাসুম : পূবালী ব্যাংক থেকে প্রায় ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের করা মামলার তদন্তে মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অভিযোগপত্রও অনুমোদন দিয়েছে।
অভিযোগপত্রে মেসার্স অনির্বাণ সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। তিনিই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে মামলা হলেও এত বছর পর অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, পূবালী ব্যাংকের কনজ্যুমারস ক্রেডিট প্রকল্পে গ্রাহকের কাছে ঋণ বিতরণ ও তা আদায় করার জন্য এজেন্ট নিযুক্ত হন মেসার্স অনির্বাণ সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি মো. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।
ওই দায়িত্ব পালনকালে ১৭৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ২৮ লাখ ৮১ হাজার ১৮৩ টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৮ সালের ওই ঘটনায় ২০০৫ সালে বিশেষ আদালতে মামলা করে পূবালী ব্যাংক।
২০১২ সালে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকের কাছে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন। প্রতিবেদনে সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার কথা তুলে ধরেন দুদক কর্মকর্তা।