• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

‘২১ আগস্ট ঘাতকরা আমাকে হত্যা করতে ১৩টি গ্রেনেড মেরেছিল’


প্রকাশিত: ৯:২৫ পিএম, ২১ আগস্ট ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৫ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২১ ঘাতকরা আমাকে হত্যা 1করতে ১৩টি গ্রেনেড মেরেছিল। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলাকারীদের নিরাপদে সরিয়ে দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পুলিশ।রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।

গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটার পর একটা গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তারা ১৩টি গ্রেনেড তারা মেরেছে। আমার গায়ে রক্ত দেখে অনেকে ভেবেছে আমি আহত। আল্লাহর রহমতে আমার শরীরে কোনো স্প্রিন্টার লাগেনি। হানিফ ভাইয়ের গায়ে লাগে, তিনি রক্তাক্ত হন।’

গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে আমাদের মিটিং করতে দেয়া হতো না, হাজার হাজার পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হতো। আর কী আশ্চর্যের বিষয়, সেদিন (২১ আগস্ট) পুলিশের কোনো তৎপরতাই নাই।’

‘এমনকি আমরা যখন মিটিং করি, তখন আমাদের ভলান্টিয়ারদেরও আশপাশের এলাকার বাড়ি বা অফিসের ছাদেও যেতে দেয়নি তখনকার বিএনপির সরকার। কাউকে সেদিন নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করতে দেয়নি। এটা কেন দেয়নি?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘পুলিশ সব সময় (আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে) বাধা দিয়েছে, কিন্তু সেদিন পুলিশ নীরব।’তিনি বলেন, ‘মৃত্যু বারবার আমার পিছু ছুটেছে, কিন্তু আমি ভীতু ছিলাম না। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। আমি জাতির জনকের কন্যা। জন্মেছি যখন, যে কোনো সময় মৃত্যু আসতে পারে।’

গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটার পর একটা গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তারা ১৩টি গ্রেনেড তারা মেরেছে। আমার গায়ে রক্ত দেখে অনেকে ভেবেছে আমি আহত। আল্লাহর রহমতে আমার শরীরে কোনো স্প্রিন্টার লাগেনি। হানিফ ভাইয়ের গায়ে লাগে, তিনি রক্তাক্ত হন।’

তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করা হয়। ওই হামলায় আমরা আইভি রহমানকে হারাই। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে হারাই।’