২০ লাখ টাকা যৌতুক-স্ত্রী নির্যাতন মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা পাকরাও
কোর্ট রিপোর্টার : ২০ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় শফিউল আলম তুষার (৩৪) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। বিকেলে তুষারকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যৌতুক নিরোধক আইনের ৪ ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারির পর আজ তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী তুষারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার দীপা। তিনি একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেন। বাড়ি সাভারের ডেন্ডাবর এলাকায়।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত বছরের ২৭ আগস্ট রাজধানীর পল্লবী এলাকার বাসিন্দা শফিউল আলম তুষারের সঙ্গে দীপার বিয়ে হয়। বিয়েতে দেনমোহর ছিল ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা উসুল দেখানো হলেও বাস্তবে মোহরানার কোনো অর্থ বা সম্পদ পাননি দীপা।
অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের রাতেই দীপার বাবার কাছে বরের বাবা ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। অন্যথায় তাঁরা বউকে ঘরে তুলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। পরে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে বাদী স্বামীর বাড়িতে উপস্থিত হলে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয় আর্জিতে।
এ মামলায় তুষারের বাবা, মা, ছোট ভাই ও তাঁর স্ত্রীকেও আসামি করা হয়। মাহমুদা আক্তার দীপা জানান, একটি প্রতিষ্ঠিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সত্ত্বেও তিনি যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার। বাধ্য হয়েই তিনি মামলাটি করেছেন বলে জানান।
অন্যদিকে তুষারের বাবা নূর আলমগীর জানান, দাম্পত্য জীবনের কলহ আর বনিবনা না হওয়ায় তাঁদের পরিবারের সম্মানহানী ও হয়রানির জন্য যৌতুকের দাবি তুলে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।