২০০ পৌরসভায় লিডিং পজিশনে আ’ লীগ প্রার্থীরা
বিশেষ প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা পর্যালোচনা করেছি, ২০০টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা লিডিং পজিশনে আছেন। জনসমর্থনে প্রায় ২০০ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছে দলটির কেন্দ্রীয় তদারক কমিটি। তাদের মনোনীত প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে কাল সোমবার থেকেই সাতটি প্রচার দল আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামবে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দলটির কেন্দ্রীয় তদারক কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকেরা পৌরসভা নির্বাচনে অন্তত ২০০ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের এগিয়ে থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন।
বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পর্যালোচনা করেছি, ২০০টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা লিডিং পজিশনে আছেন।’
বৈঠকে উপস্থিত দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক জাতিরকন্ঠকে বলেন, তদারক কমিটির বৈঠকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কোথায় কী অবস্থা—সেই পর্যালোচনা তুলে ধরেন সাংগঠনিক সম্পাদকেরা। তাঁরা চট্টগ্রামের রাউজান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, মানিকগঞ্জ, নড়াইল, শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠনের কথা বলেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা যেন পরাজয়ের কারণ না হন, তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
এ ছাড়া সাতটি বিভাগের জন্য দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় সদস্য, পেশাজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিকদের নিয়ে সাতটি প্রচার দল গঠন করা হয়।
আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন, মন্ত্রী ও সাংসদ নন—এমন নেতাদের নিয়ে সাতটি টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিবাচক রাজনীতি করে। তাই জনগণ তাঁদের দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেবেন।
সাত বিভাগে সাতটি দল: ঢাকা বিভাগের জন্য গঠিত দলের নেতৃত্বে থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, সুজিত রায় নন্দী, অভিনেত্রী শমী কায়সার, খুলনা বিভাগের জন্য দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান,
রাজশাহীর জন্য দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন,
রংপুর বিভাগের জন্য স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূইয়া, ডা. নূজহাত চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান,
বরিশাল বিভাগের জন্য তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও সিলেট বিভাগের জন্য কেন্দ্রীয় শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ নেতৃত্বে থাকবেন।