• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

১৭ বছর পর জাসদ নেতা কাজী আরেফের ৩ খুনীর ফাঁসি হবে আজ রাতে


প্রকাশিত: ৫:১২ পিএম, ৭ জানুয়ারী ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬২ বার

kazi_aref_ahmed-www.jatirkhantha.com.bdলাবণ্য চৌধুরী:  ১৭ বছর পর কাজী আরেফের ৩ খুনীর ফাঁসি হবে আজ রাতে । জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদসহ দলটির পাঁচজন নেতা কর্মীকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামীর আজ রাতে ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যশোর কারাগারে এজন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
kazi-5 leader-Marder-www.jatirkhantha.com.bd
ওই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৭ বছর পর সাজা কার্যকর করা হচ্ছে।যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন, আজ রাতে, ১২টার আগে তিনজন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। এ সময় তিনি, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন সেখানে থাকবেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনদেরও কারাগারে আসতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

kazi_aref-Mardarar--3 killer-www.jatirkhantha.com.bdযশোর কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক শাহজাহান আহমদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি রয়েছে। জেল কোডের বিধান অনুযায়ী আজ থেকে ১০ জানুয়ারীর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। তাই দণ্ড কার্যকরের জন্য তারা পুরো প্রস্তুতি নিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের রাজনগর গ্রামের হাবিবুর রহমান, কুর্শা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম।

১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি সভা চলার সময় ব্রাশ ফায়ারে জাতীয় সমাজতান্দ্রিক দল- জাসদের পাঁচজন নেতা নিহত হন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ ছাড়াও নিহত হন তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরায়েল হোসেন এবং শমসের মণ্ডল।

----------kazi-aref-ahmed-death-www.jatirkhantha.com.bdওই হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর, ২০০৪ সালের ৩০ অগাস্ট ১০ জনের ফাঁসি এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কুষ্টিয়া জেলা জজ। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হলে, ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট নয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন, একজনকে খালাস দেন ও ১২ জনের সাজা মওকুফ করেন।

kazi-aref----------ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে, ২০১১ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেই আদেশ দেয়া হয়।২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়।পরে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে পাঁচজন পলাতক রয়েছে আর একজন কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।