১৬ কোটি মানুষ আছে তাসকিনের পাশে
আসমা খন্দকার : অবৈধ বোলিং এ্যাকশন পরীক্ষা দিতে তাসকিনকে টিপস দিচ্ছেন আল আমিন। আল আমিন তাকে বলেছেন ১৬ কোটি মানুষ আছে তোমার পাশে।তাসকিন তুমি এগিয়ে যাও, জয় তোমার হবেই।
২০১৪’এর সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে আম্পায়ারদের সন্দেহের তালিকায় ছিলো আল আমিনের বোলিং অ্যাকশন’ও। পরে চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দেন আল আমিন।
সেখান থেকে বোলিং এ্যাকশন পরীক্ষায় পাশ করেন আলআমিন।কিন্তু সেখানকার ছাড়পত্র পেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার থিতু হতে অনেক সময় লেগে যায় আলি আমিনের।এ রকম পরিস্থিতিতে একজন বোলারের মানসিক অবস্থা কি দাঁড়ায়, তা আল আমিন বুঝিয়েছেন তাসকিনকে।
তাসকিন এত দিন ধরে যে অ্যাকশনে বল করে আসছেন সেটা নাকি সন্দেহজনক! চেন্নাইয়ে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা। সেই কয়েক দিন কি যে দুঃসহ সময় কেটেছে তাসকিন আহমেদের, সেটা তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন। আর জানেন আল আমিন হোসেন।‘এটা জীবনেরই একটা পরীক্ষা। অনেক স্নায়ুচাপে ভুগতে হয় এই সময়ে’।
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর যাদের দেওয়া সাহস তাসকিনকে শক্ত রেখেছিল, আল আমিন তাদের একজন। তাসকিন নিজেও এর আগে তা বলেছেন। কাল আল আমিনও জানালেন, ‘আমি এক শ ভাগ নিশ্চিত ছিলাম তাসকিনের অ্যাকশনে সমস্যা নেই।
তাকেও বারবার এটাই বলেছি। খোলা চোখে মনে হয় না অ্যাকশনে ত্রুটি আছে। পরীক্ষার পর নিশ্চয়ই সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ চেন্নাইয়ের রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে যেহেতু তাঁরও পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে, সে সম্পর্কেও তাসকিনকে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছিলেন আল আমিন।
কিন্তু কিছুই কাজে লাগল না। চেন্নাই থেকে দুঃসংবাদই এল। অবৈধ অ্যাকশনের দায়ে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন তাসকিন। খবরটা শুনে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না আল আমিনের, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাসকিনের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটেছে। আমরা কেউই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
মনে হচ্ছিল, পরীক্ষা দিলে তো ওর অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ দূর হয়ে যাওয়ার কথা। অবৈধ হবে কেন?’আল-আমিনের মতো এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষেরই। তবু বাস্তবতা না মেনে উপায় নেই। তবে আল আমিন আশাবাদী, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আবার বোলিংয়ে ফিরতে পারবেন তাসকিন।