বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকেরা চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দেশের প্রধান দুই দলকে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এই আস্থার অভাবেই নিরাপত্তা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে যান ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের পর অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক সাংবাদিকদের বলেন, ‘১ মার্চ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও একই ধরনের বৈঠক হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘসহ আমাদের আগের বিবৃতিগুলোর প্রসঙ্গ টেনে অব্যাহত সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।’
উইলকক বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে রাজনৈতিক সংঘাত কমানোর মতো আস্থা স্থাপনের প্রয়াসকে উৎসাহিত করেছি। বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগকে স্বাগত জানাই। আমরা সব পক্ষের কাছে আমাদের অভিন্ন প্রত্যাশার কথা তুলে ধরব।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, কূটনীতিকদের সঙ্গে তাদের বৈঠকে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে এই আলোচনা সম্পর্কে কূটনীতিকেরাই গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে কিছুই বলা হবে না।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম।
কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জারবেন ডি জং, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হুসেইন মুফতুগলু, ইইউর রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ফশ ও কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড্যানিয়েল লুৎফি।