• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট-আইনমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১:১৪ পিএম, ২ জুলাই ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫২ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট চলতি মাসের ১৫ anisul-haque-www.jatirkhantha.com.bdতারিখের মধ্যে প্রকাশ করা হবে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। রোবরার দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে এটাকেই শেষ সুযোগ বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। রোববার সকালে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুই সপ্তাহ সময়ের আবেদন জানালে তা মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি ওই কথা বলেন।এর আগে গত ২৯ মে বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে সরকারকে ২ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

তার আগেও আপিল শুনানিতে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে দফায় দফায় সময় নেয় সরকারপক্ষ। গত মাসে শেষবারের মতো আবারও সময় পায় রাষ্ট্রপক্ষ।নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ।

২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এজন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি, ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে। এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করেন।

এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন। গত ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত চারটি বিধিমালা সাত দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে এ সংক্রান্ত মামলাটি এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। ১২ দফা নির্দেশনার যেসব দফা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ রয়েছে।