১৩ কোটি টাকা কোত্থেকে পেলো বাচ্চুর স্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হচ্ছেনা বাচ্চুর; এবার বেসিক ব্যাংক বাচ্চুর ছেলে মেয়ে স্ত্রীর দুর্নীতি’র বের করলো দুদক। বাচ্চুর পরিবারের এই স্বজনদের নামে একটি ব্যাংক একাউন্টে মাত্র ১১মাসে ১৩ কোটি টাকা জমা করা হয়েছে। কোত্থেকে এলো এতো টাকা? তারই অনুসন্ধান করছে দুদক।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।আজ (বুধবার) পঞ্চমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে তিনি সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হন। দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এর আগে গত ৭ ও ১৫মে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে তলব করা হলেও অসুস্থতা দেখিয়ে হাজির হননি তিনি। আজ তাকে নিয়মবর্হিভূত ব্যক্তিগত সম্পদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদুকের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১১ মাসে নজিরবিহীন অনিয়মের মাধ্যমে ঋণের নামে বিভিন্ন জনকে ৩ হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দেন।বাংলাদেশ ব্যাংক তখন তদন্ত করে বলেছিল, ‘৪০টি দেশীয় তফসিলি ব্যাংকের কোনোটির ক্ষেত্রেই পর্ষদ কর্তৃক এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না। এই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনাও কম।’
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী ও ৮১ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ ১২৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছেন দুদকের ১২ কর্মকর্তা। তবে কোনো মামলাতেই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি।
এ নিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদ, ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সর্বশেষ আদালত পর্যন্ত সমালোচনা করেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, আবদুল হাই বাচ্চু সেগুনবাগিচাতে ইডেন ফিসারিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের একটি ব্যাংক একাউন্টে তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের নামে মাত্র ১১মাসে ১৩ কোটি টাকা জমা করেন। ওই টাকার উৎস সম্পর্কে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে দুদকের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি।