• শনিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

১১ বছর পর শিবিরকর্মীর লাশ উত্তোলন-মৃতদেহে মিলল বুলেট


প্রকাশিত: ১০:৪০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭ বার

নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর এলাকায় ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজিবের মৃতদেহ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের সময় মৃতদেহের মধ্যে একটি গুলিও পাওয়া যায়। মঙ্গলবার বিকালে বসুরহাট পৌরসভা ৬নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে নিহত শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজিবের মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়।

জানা গেছে, গত ২০১৩ সালে ৪ জামায়াত-শিবিরকর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনায় চলতি বছরের গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত ওই চারজনের মৃতদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর নিহত শিবিরকর্মী সজিবের মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়। গুলিতে নিহত অপর ৩ জামায়াত-শিবিরকর্মী সাইফুল ইসলাম, আবদুল আজিজ রায়হান ও সাইফুল ইসলাম বাবলুর মৃতদেহ পর্যায়ক্রমে কবর থেকে উত্তোলন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ওই সময় কবর থেকে বুলেট সাদৃশ্য একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়। পরীক্ষার পর বলা যাবে এটি বুলেট কিনা।

মৃতদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, পৌরসভা আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতের স্বজনেরা।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালিন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্য’সহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে।