১০ কোটি ডলার লুটপাটে সরকারে অস্বস্থি-আজ চক্রের মুখোশ উম্মোচন
শফিক রহমান : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ডলার লুটপাটে এদেশীয় ব্যাংকের চক্র জড়িত থাকার তথ্যে অসস্থিতে পড়েছে সরকার । এ ঘটনায় সরকারের ওপর মহলের নেতারা ইতিমধ্যে নানা ধরনের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী নাখোশ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তথ্য গোপন করা নিয়ে।এদিকে অর্থ লোপাট এর ঘটনায় শিগগির বাংলাদেশ ব্যাংকে রদবদলের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনা এক মাস গোপন রাখার জন্য ক্ষুব্ধ অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত-যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখা প্রায় ১০ কোটি ডলার চুরি হওয়া নিয়ে অব্যাহত তোলপাড়ের মধ্যে বাংলাদেশে ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত।সোমবার তার কার্যালয়ে এই কেলেঙ্কারি নিয়ে একদল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় অর্থমন্ত্রী এই ইঙ্গিত দেন।
বাংলাদেশের ব্যাংকে পরিচালনায় কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা – একজন সাংবাদিকের এই প্রশ্নে মন্ত্রী জবাব দেন “হ্যাঁ”।সেই সাথে তিনি বলেন, শীঘ্রই তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে কথা বলবেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) অর্থমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
ওদিকে, গভর্নর আতিউর রহমান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের এক সভা শেষে করে তিনদিন পর আজ (সোমবার) বিকেলের দিকে ঢাকা ফিরেছেন।তার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের জরুরী সভা ডেকেছেন গভর্নর।
ক্ষুব্ধ অর্থমন্ত্রী
ফেডারেল রিজার্ভ থেকে এত টাকা চুরি যাওয়ার ঘটনা প্রায় মাসখানেক তাকে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি — এই অভিযোগ তুলে গত দুদিন ধরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।আজ (সোমবার) মন্ত্রীসভার বৈঠকে তিনি এই প্রসঙ্গ তোলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই কেলেঙ্কারি নিয়ে মন্ত্রীসভায় আজ কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “আইন ও বিধি অনুযায়ী” ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।পরপরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এরকম চুরির ঘটনা ঘটতেই পারে, কিন্তু ঘটনার কথা কেউ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ কাজ করছে।”
“ড: ইউনুসের চেলা”
ওদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য নুহ আলম লেনিন গভর্নর আতিউর রহমানের অপসারণ চেয়েছেন।
তার ফেসবুক পাতায় মি লেনিন আতিউর রহমানকে ড মুহাম্মদ ইউনুসের “চেলা” হিসাবে আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, “টাকা চুরি যাওয়া এবং তথ্য গোপন করে দায়িত্বহীন আচরণের জন্য অবিলম্বে আতিউরকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করা উচিত”।