হেফাজতের সঙ্গে আলোচনা কৌশলগত এর রাজনৈতিক ইম্প্লিকেশন আছে-কাদের
স্টাফ রিপোর্টার : কৌশলগত কারণে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এ আলোচনার রাজনৈতিক ইম্প্লিকেশনও (তাৎপর্য) তো থাকতে পারে।’ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেমন ধরুন যে দিন আমরা (কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স) স্বীকৃতি দিলাম, তার ঠিক পরদিন হাটহাজারীর আল্লামা শফি হুজুর বগুড়াতে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠিন বক্তব্য দিয়েছেন। এটা আমাদের রাজনৈতিক কৌশলের বিষয়, এখানে কি আমরা ভুল করেছি?’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই গোষ্ঠীটার প্রধান যদি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একটা শক্ত অবস্থান নেন, সেটা কি আমাদের লাভ নয়? যারা এর বিরোধিতা করে, আমি তাদের বিবেকের কাছে আপিল করছি। রাজনীতির কতগুলো বাস্তবতা আছে, সামাজিক কৌশল আছে।’
কওমি শিক্ষার স্বীকৃতির সঙ্গে হেফাজতের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে কওমি উচ্চ শিক্ষার স্বীকৃতিকে কেউ কেউ গুলিয়ে ফেলেন হেফাজতকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে মনে করেন। বাস্তবতা কিন্তু সেটা না। হেফাজতের সঙ্গে আমাদের কোনো অ্যালায়েন্স নেই। তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তিও হয়নি।’
সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস বলে বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় ও বিশ্বস্ত পৃষ্ঠপোষকের নাম বিএনপি।বৈঠকে খ্রিস্টান সম্প্রদায় ইস্টার সানডের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা, মন্ত্রিসভায় তাদের অংশীদারিত্ব, যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরির সুযোগ-সুবিধাসহ বেশ কিছু দাবি তোলা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এগুলো নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেনসহ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।