• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

হুজি জঙ্গি ডন মুফতি হান্নানের অজানা আন্ডারওয়াল্ড মিশন


প্রকাশিত: ১১:৫৫ পিএম, ১২ এপ্রিল ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৯ বার

এস রহমান  :  আফগানিস্তানে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি ডন মুফতি হান্নান ১৯৮৭ সালে Mufti hannan-www.jatirkhantha.com.bd12পাকিস্তানের করাচিতে নিউ টাউন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে ধীরে ধীরে নেমে পড়েন জঙ্গি কর্মকান্ডে। ১৯৮৮ সালে হান্নান পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন এবং আহত হন। বাংলাদেশে ফিরে ১৯৯৪ সালে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশে যোগ দেন।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের স্বাধীনতাবিরোধী নূর উদ্দিন মুন্সির ছেলে হান্নানের জঙ্গি তৎপরতা প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০০০ সালে শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে রাখার ঘটনা ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে। ওই বছর ২২ জুলাই উপজেলা সদরের শেখ লুৎফর রহমান কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ছিল।

দুদিন আগে সভাস্থল থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি এবং ২৪ জুলাই হ্যালিপ্যাডের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের আরও একটি দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।আফগানফেরত যেসব মুজাহিদ বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল, তাদের একজন হান্নান।

১৯৯৯ সালে যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলা, ২০০১ সালে পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা এবং ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায়ও তিনি জড়িত ছিলেন।

১৯৯৬ সালে যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলায় নিহত হন ১০ জন, ওই হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন মুফতি হান্নান। ১৯৯৬ সালে যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলায় নিহত হন ১০ জন, ওই হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন মুফতি হান্নান।

২০০৫ সালে মৌলভীবাজারে সমাবেশে বোমা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজনকে হত্যা এবং তার আগের বছর সিলেটের তৎকালীন মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ওপর গ্রেনেড হামলার পিছনেও তার হাত ছিল।

উপজেলা সদরে হান্নানের ‘সাবান তৈরির কারখানায়’ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। পালিয়ে যান মুফতি হান্নান, ধরা পড়েন  ২০০৫ সালের ১ অক্টোবর ঢাকার বাড্ডার একটি বাসা থেকে। এর মাঝে ঘটে যাওয়া একের পর এক বোমা হামলায় প্রাণহানি হয় শতাধিক মানুষের, আহত হন কয়েকশ, যার বেশিরভাগেরই পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় থাকার কথা স্বীকার করেছেন মুফতি হান্নান নিজেই ।

হান্নান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য। সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক আব্দুল কাহার আকন্দের ভাষ্যমতে, সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হান্নান দেশে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন। বোমা বানানোয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি।

হান্নান প্রথমে দেশি বোমা ব্যবহার করলেও পরে ‘পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড’ সংগ্রহ করেন বলে বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।