হিপহিপ হুররে-ইন্ডিয়া হারবে রে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলবে রে!
বিশেষ প্রতিনিধি : এবার আর পেছনে ফিরে তাকানোর অবকাশ নেই। এবার ফাইনালে যেতেই হবে? টাইগারদের কাছে এবার সারা দেশবাসীর প্রত্যাশা একটাই-লড়ে জিততে হবেই? খেলতে হবে ফাইনালে। সারা দেশে ইতিমধ্যে বলাবলি হচ্ছে-হিপহিপ হুররে-ইন্ডিয়া হারবে রে, বাংলাদেশ ফাইনালে খেলবে রে! সূত্রমতে, সমীকরণটা দেশবাসীর জানাই ছিল। ইংল্যান্ডের কাছে যদি অস্ট্রেলিয়া হেরে যায় তাহলে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো বড় ইভেন্টে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে বাংলাদেশ।
আর অস্ট্রেলিয়া যদি জয়লাভ করে তাহলে বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ইংলিশদের সঙ্গে সেমিতে যাবে অজিরা। শনিবার এজবাস্টনে এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। হিসাবটা এমনও ছিল যদি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্তও হয় তাহলেও বাংলাদেশ সেমিতে যাবে।
অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ২৭৮ রানের টার্গেট দেয়। ইংলিশরা ব্যাট করতে নামার ৬ ওভার পর বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগেই অবশ্য ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটের পতন হয়।
সবার মনে তখন একটা ভয়ের সঞ্চার হয়। জিততে পারবে কি ইংল্যান্ড। প্রথমবার বৃষ্টির পর আবারও খেলা শুরু হয়। তবে শুরুর তিন উইকেট পতনের ধাক্কা সামাল দেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মর্গান ও অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
তারা দুজন মিলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। মর্গান এবং স্টোকসের জুটিটা ছিল ঠিক বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটির মতো।
মর্গান সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার আগে রান আউট হন। তবে বেন স্টোকস শতক হাঁকান। স্টোকসের শতকের পরই এজবাস্টনে শুরু হয় বৃষ্টি। পরে আর বল মাঠে না গড়ালে ইংল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ৪০ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।ইংল্যান্ডের এই জয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে টাইগার ক্রিকেট ভক্তরা। ১৬ কোটি বাঙালি এদিন ইংলিশদের পক্ষে সমর্থন দেয়।
বাংলাদেশের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। উল্লাসে ফেটে পড়েন মাশরাফি বাহিনীও। যা ফেসবুকে শেয়ার করা টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের একটি ভিডিওতে দেখা যায়। মাশরাফিরা গলা ছেড়ে গান ধরেন ‘আমরা করবো জয়’।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর মাশরাফিরা কার্ডিফেই ছিলেন। সেখানেই টিম হোটেলের ড্রেসিংরুমে গানটি গেয়ে বিজয়ী হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা।ড্রেসিং রুমে ক্রিকেট দলের ম্যানেজার রাবিদ ইমাম, মাশরাফি, সাকিবসহ সকল খেলোয়াড় গোল হয়ে দাঁড়িয়ে উচ্ছসিত কন্ঠে এ গানটি গান।
এ সময় বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম সামনে এসে হাসিমুখে চিৎকার করে বলে ওঠেন- থ্রি চিয়ার্স ফর মোসাদ্দেক। হিপ হিপ হুররে, হিপ হিপ হুররে। থ্রি চিয়ার্স ফর অল বোলারস। হিপ হিপ হুররে, হিপ হিপ হুররে। থ্রি চিয়ার্স ফর রিয়াদ ভাই অ্যান্ড সাকিব। হিপ হিপ হুররে। হিপ হিপ হুরবে।