হাসিনার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি!
শফিক রহমান: কাল শুক্রবার যখন মধ্যগগনে সূর্য থাকবে, ঝলসানো রোদে যখন মানুষ শান্তি’র খুঁজবে, যখন জুম্মাবারের কোটি কোটি মানুষ যখন দুহাত তুলবে তখন সারাবিশ্বের মানুষ একজনকে নতুন করে চিনবে-তিনি হবেন নোবেল শান্তির গর্বিত ব্যক্তিত্ব। কে সেই মাদার অব হিউম্যানিটি !
তখন ১৬ কোটির দেশের মানুষ একজনের জন্যে রাব্বুল আলামিনের কাছে আকুল আবেদন জানাবে শেখ হাসিনার নোবেল প্রাপ্তির জন্যে! কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে আগামীকাল ৬ অক্টোবর দুপুর প্রায় ৩টায়।
কে পাচ্ছেন ২০১৭ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত। অপেক্ষা করছেন তামাম বিশ্ব। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রবক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত ১০ জনের তালিকায় আছেন মাদার অব হিউম্যানিটি বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রাণের দাবী, আশাবাদী হয়ত এবার বিশ্ব মানবতার কল্যাণে ব্রতী শেখ হাসিনা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন।
মিয়ানমার সেনাবহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশ থেকে বিতারিত হয় সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গ মুসলমান। বাংলাদেশ পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাদের জীবনের নিরাপক্ষা দিয়ে যে নজীর সৃষ্টি করলেন প্রধানমন্ত্রী তা ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে বাঁচিয়েছেন শেখ হাসিনা। গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর শুরু হয় নির্যাতন। তার পরদিন থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে। এ পর্যন্ত এর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
১৯০১ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। ঐ বৎসর থেকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকাণ্ডের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হল: পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি।
নোবেল পুরস্কারকে এ সকল ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে ইংরেজিতে নোবেল লরিয়েট বলা হয়। সুয়েডীয় বিজ্ঞানী আলফ্রেদ নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল-এর মর্মানুসারে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। নোবেল মৃত্যুর পূর্বে উইলের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে যান। শুধুমাত্র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় অসলো, নরওয়ে থেকে। বাকি ক্ষেত্রে স্টকহোম, সুইডেনে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অর্থনীতি ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে ১৯০১ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে, কিন্তু অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে ১৯৬৯ সালে। আলফ্রেদ নোবেল তার উইলে অর্থনীতির কথা উল্লেখ করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। প্রত্যেক বছর পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেক একটি স্বর্ণপদক, একটি সনদ ও নোবেল ফাউন্ডেশন কর্তৃক কিছু পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৮০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনা। নোবেল পুরস্কার মৃত কাউকে দেয়া হয় না। লরিয়েটকে অবশ্যই পুরস্কার প্রদানের সময় জীবিত থাকতে হবে। কিন্তু এর কিছু ব্যতিক্রম আছে। খুব বেশি অবদান এর জন্য মরনত্তোর পুরস্কার দেয়া হয়।
নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ ও ড্যানিশ: নোবেলস ফ্রেডসপ্রিস, প্রদান নোবেল পুরস্কারের একটি বিভাগ। ১৯০১ সাল থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। নরওয়েজিয়ান পালার্মেন্ট ‘নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি’র মনোনয়ন দেন।
শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঘিরে যে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে তা উচ্চ কণ্ঠে তুলে ধরেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিবসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান নেতৃবৃন্দ তাঁর কথা শুনেছেন এবং এই মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
(যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ নিরাপত্তা পরিষদের সাতটি সদস্য দেশ রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে বিশেষ একটি অধিবেশনের ডাক দেয়। নিরাপত্তা পরিষদ এ বিষয়ে সর্বসম্মত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তারা নিয়মিতভাবে রাখাইন অঞ্চলে যে অগ্নিসংযোগ ঘটছে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সেসবের প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক কৌশলগত ফোরাম আইসিএসএফ ২৪ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে মায়ানমারে চলমান ‘গণহত্যা’র নিন্দে জানিয়েছে এবং বিশ্বসম্প্রদায়কে রুখে দাঁড়াতে বলেছে।
বাংলাদেশ যেভাবে শরণার্থীদের সামলাচ্ছে তারও তারা প্রশংসা করেছেন। গণমাধ্যমগুলোও ইতিবাচক খবর ছাপছে। সর্বশেষ বিশ্বখ্যাত ‘দি ইকোনমিস্ট’ লিখেছে রুয়ান্ডার চেয়েও বেশি হারে রোহিঙ্গা শরণার্থীর বিগত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
আল-জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন, এনডিটিভি নিয়মিত খবর প্রকাশ করছে। ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি শরণার্থীদের কাদামাখা পায়ের ছবি দেখিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেছে যে কি নিদারুণ কষ্ট করেই না শরণার্থীরা বাংলাদেশে এসেছে। নিজেদের সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এসব দুঃখী মানুষকে আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিচ্ছে। শুরুতে খানিকটা বিশৃঙ্খলা থাকলেও এখন শরণার্থী শিবিরে শৃঙ্খলা ও স্বস্তি ফিরে এসেছে। সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়েছে। নানা দেশ থেকে ত্রাণ আসছে। কিন্তু বিদেশী ত্রাণের জন্যে বাংলাদেশ বসে থাকেনি। মানবকল্যাণে উচ্চকণ্ঠ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছুটে গেছেন রোহিঙ্গা ত্রাণ শিবিরে। নিপীড়িত মায়েদের শিশুদের তিনি বুকে আগলে নিয়েছেন।
বিদেশী এক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধু কন্যাকে প্রশ্ন করেছিলেন, “এই রোহিঙ্গাদের আপনি কতদিন রাখবেন?” উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “কতদিন? এরা সবাই মানুষ। ” অন্য আরেক জনসমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের যা আছে তাই আমরা শরণার্থীদের সাথে ভাগ করে খাবো।
যাদের জন্যে তিনি দুঃসাহসী ও মানবিক কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছেন তাদের মুখেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসাবাক্য উচ্চারিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী কেন্দ্রে খাদিজা (২০) নামের এক তরুণী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ঐ সন্তানের নাম রাখেন ‘ শেখ হাসিনা’।
খাদিজার মা আলুম বাহার বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহানুভূতির কারণেই রাখাইন ছেড়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় পেয়েছে, বেঁচে আছে। এমনকি খাদিজার মেয়ে পৃথিবীর আলো-বাতাস পাচ্ছে শেখ হাসিনার কারণেই। ”
জাতিসংঘে দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের গুরুত্ব মনে হয় অনেকেই অনুধাবন করতে পারছেন। কফি আনন কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নসহ তিনি সুনির্দিষ্ট পাঁচ দফা প্রস্তাব রাখেন। নিরাপত্তা পরিষদের সাত সদস্য যাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে, এরই মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিবকে এক বিশেষ অধিবেশনের পুরো রোহিঙ্গা সংকটটি ব্যাখ্যা করতে আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার (ইউএনএইচ সিআর) শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে বলেছেন রাখাইনে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে এবং শরণার্থীদের ফেরৎ নিতে হবে।
যুক্তরাজ্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটেও মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কথা চালাচালি শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে মিয়ানমার সেনা প্রধানকে টেলিফোনে সন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক’দিন আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে আলাপ করেছেন। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এ প্রশ্নে যথেষ্ট সোচ্চার। এই বাস্তবতায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিউইয়র্কে দেখা করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় আলাপ শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার অং সান সুচি সুর নরম করে শরণার্থী ফেরৎ নেবার কথা বলছেন। তবে তাতে যাচাই বাছাইয়ের শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। একদিকে মিয়ানমারের ওপর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপ বাড়ছে অন্যদিকে রাখাইনে এখনও আগুন জ্বলছে। তাই বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। তবে আশার কথা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বিশ্ববাসী সাড়া দিতে শুরু করেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে একটি জাতির নিধনের কথা যেমন বলেছেন তেমনি আবার শান্তির আবাস অঞ্চল গড়ার আহ্বানও করেছেন। তিনি বরাবরই শান্তির পক্ষে তাঁর অবস্থান বজায় রেখেছেন। তাঁর দেয়া শান্তির মডেল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাশ হয়েছে। পেছনে পড়ে থাকা মানুষগুলোকে উন্নয়নের আবর্তে এনে সার্বজনীন শান্তি স্থাপনে তিনি বিশ্বাসী।
এবারে জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে তিনি সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম জোরদার করার কথাও বলেছেন। হোলি আর্টিজানের মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার পর যখন পুরো জাতির মনোবল ভেঙ্গে গিয়েছিল, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ ছেড়ে যাবার কথা ভাবছিলেন তখন তিনি দশ হাতে এই মানবতার শত্রুদের দমনে নেমে পড়েন। আর কে না জানেন ধর্মীয় উগ্রবাদী এই সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ কতোটা সফল। সবমিলে তিনি আজ আমাদের শুধু জাতীয় নেতাই নন, বিশ্ব নেতাও বটে। “আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ক্রমেই তিনি নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য উচ্চতায় এবং বিশ্বে তিনি নন্দিতও হচ্ছেন সেইভাবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছেন তাঁর নানামুখী দূরদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণে এবং বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে। ”
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়ে যান মমত্বময়ী এবং মানব-কল্যাণে ব্রতী এক অনন্য দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক। তিনি তাঁর মানব-কল্যাণী নীতি ও কর্মকাণ্ডের জন্যে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার, জাতিসংঘের আইসিটি পুরস্কার, ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার, প্ল্যানেট ফিফ্টি ফিফ্টি পুরস্কারসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রবক্তা শেখ হাসিনার বিশ্বমঞ্চে সরব উপস্থিতি সকলেরই চোখে পড়ছে। আর এসব কারণেই আমরা প্রত্যাশা করি শান্তি’র অন্বেষায় তাঁর এই অভিযাত্রা সফল হোক। তাঁর স্থান হোক
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারীদের তালিকায়।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারীদের তালিকায় এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪৪ জন নারী স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন।এবার যেন ৪৫ তম তালিকায় শেখ হাসিনার নামটি স্থান পায়!
জানা গেছে, নোবেল শান্তি পুরস্কারে শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন, অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ২০১৫ সালে ইউরোপের শরণার্থী সংকটের সময় জার্মানিতে ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণার পর থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছে। তবে শরণার্থীদের জন্য উদারতা দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হলেও নিজ দেশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন মেরকেল। গত মাসে জাতীয় নির্বাচনে তার দল বিজয়ী হলেও অভিবাসন নীতির কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে কমসংখ্যক আসন পেয়েছেন। অন্যদিকে অভিবাসনবিরোধী উগ্র জাতীয়তাবাদীরা পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহৎ দলে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া রয়েছে সিরিয়ার উদ্ধারকর্মীদের সংস্থা ‘হোয়াইট হেলমেটস’সহ ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মনোনীতদের মধ্য থেকে চার ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে এবারের সম্ভাব্য পুরস্কার বিজয়ী মনে করা হচ্ছে।নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচন সবসময় গোপন থাকে। এর পরও মনোনয়ন তালিকা দেখে চার ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে এবারের সম্ভাব্য পুরস্কার বিজয়ী মনে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টাইম ম্যাগাজিন।