• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মাইলফলকের সম্মেলন


প্রকাশিত: ১:২৯ পিএম, ২২ অক্টোবর ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৩ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন মহাসড়কের মাইলফলক সৃষ্ঠির সম্মেলন ছিল আজ। শনিবার সকালে al-20-sammalon-www-jatirkhantha-com-bdরাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর সংক্ষিপ্ত অভ্যর্থনা ভাষণে তিনি সম্মেলনে কাউন্সিলর, দেশী-বিদেশীসহ আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, যে কোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন বেশি শক্তিশালী। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে পৃথিবীর কোনো শক্তিই আওয়ামী লীগকে স্তব্ধ করতে পারবে না। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তাও এই দলকে দমানো যায়নি। ধ্বংস করা যায়নি। দিন দিন আরো শক্তিশালীই হয়েছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়। শহীদদের রক্ত, জাতির পিতার রক্ত, হাজারো নেতা-কর্মীর রক্তের অনুভূতি এই আওয়ামী লীগ। আন্দোলন সংগ্রামে যে অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে সে অনুভূতির নাম আওয়ামী লীগ।

যেভাবে সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী-
শনিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর সংক্ষিপ্ত অভ্যর্থনা ভাষণে তিনি সম্মেলনে কাউন্সিলর, দেশী-বিদেশীসহ আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ২০তম জাতীয় সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সম্মেলন সফল হোক। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’এরপর প্রধানমন্ত্রী সম্মেলন সঞ্চালনার জন্য ড. হাছান মাহমুদ ও অসিম কুমার উকিলকে দায়িত্ব দেন।

এরআগে সকাল ১০টা ৫ মিনিটের দিকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলন মঞ্চে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় আগতরা প্রধানমন্ত্রীকে স্লোগানে স্লোগানে শুভেচ্ছা জানান। মঞ্চে ঘুরে তিনিও হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। সম্মেলন উদ্বোধনের পর ‘আলোর অভিযাত্রা’ শিরোনামে দলীয় সঙ্গীত ও সমবেত নৃত্য পরিবেশ করা হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী সাঈদুল ইসলাম। তার পরেই গীতা থেকে পাঠ করা হয়।

সম্মেলন উপলক্ষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। শনিবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সম্মেলন স্থলে আসতে থাকেন। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সম্মেলন এলাকা। সম্মেলন মঞ্চে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।এদিকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে রাজধানীতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলন স্থলসহ আশপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। কাউন্সিলরদের দেয়া ব্যাজ ও কার্ডধারী ব্যক্তি ছাড়া সম্মেলন স্থলে অন্য কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তল্লাশির মধ্য দিয়ে সারিবদ্ধভাবে কাউন্সিলররা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন।

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে এসেছেন। সম্মেলনে আজ ২টি এবং আগামীকাল রোববার ২টি- মোট ৪টি সেশন হবে। এবারের সম্মেলনের স্লোগান হচ্ছে- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। সম্মেলনের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৈরি করা হয়েছে নৌকাসদৃশ বিশাল মঞ্চ, যা সাজানো হয়েছে আধুনিকতা আর প্রযুক্তির মিশেলে। সমুদ্রে ভাসমান নৌকার মতো দেখতে এ মঞ্চ ভূমি থেকে প্রায় ২৫ ফুট উঁচুতে। মঞ্চের প্রথম সারিতে আছে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩ জন।মঞ্চের পেছনে ৩৫ ফুট উচ্চতার এলইডি পর্দা স্থাপন করা হয়েছে। মঞ্চের সামনের দিকে নির্মাণ করা হয়েছে স্বচ্ছ কাচের খুঁটিবিহীন একটি গ্যালারি। সেখানে ছিল ৭ হাজার অতিথির আসন ।

সম্মেলনে যাওয়ার পথে উদ্যানের রাস্তাগুলোয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি সংবলিত বিলবোর্ড ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে সুদৃশ্য তোরণ। এবারের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ৬ হাজার ৭০০ জন কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেট।