‘হাততালি দেবেন না প্লিজ-আমি পছন্দ করি না, ফুল নেয়া-ওয়েলিং আমার পছন্দ না’
বিশেষ প্রতিবেদক : দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘হাততালি দেবেন না প্লিজ-আমি হাততালি পছন্দ করি না, ফুল নেওয়া ও ওয়েলিং আমার পছন্দ না’ । বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে নজর রাখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের তদন্তের পর দুদকও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।আজ সোমবার দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করবে কি না, জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক একটি স্বাধীন কমিশন। যেখানে দুর্নীতি হবে, সেখানেই যাবে।নতুন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতিবাজদের জন্য দুদক হবে আতঙ্কের। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর যারা দুর্নীতি করে না, তাদের জন্য দুদক হবে বটবৃক্ষ।
দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইকবাল মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, দুদককে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হবে। দেশের জনগণ যেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থা রাখতে পারে, সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।দুদকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নতুন এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘পদোন্নতি হবে কাজের ওপর মূল্যায়ন করে।’
এ সময় দুদকের কর্মকর্তারা হাততালি দিয়ে তাঁকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘হাততালি দেবেন না প্লিজ…আমি হাততালি পছন্দ করি না, ফুল নেওয়া পছন্দ করি না। কোনোভাবে ওয়েলিং আমার পছন্দ না।’ সামনে এসে সমালোচনা করার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতদের প্রতি অনুরোধ জানান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের কোনো কর্মকর্তা যদি দুর্নীতি করেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। সবার অংশগ্রহণে দুদকের কাজ হবে পরিচ্ছন্ন।
কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি চেষ্টা করব আমার নিজের ঘর ঠিক করতে। দুদকের মধ্যে যদি কোনো দুর্নীতি থাকে সেটা মুক্ত করব।’ তিনি বলেন, এটা সত্য যে এই প্রতিষ্ঠানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। সেটা যেন না থাকে সে চেষ্টা থাকবে।
মতবিনিময় সভায় দুদকের নতুন কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি।
দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দুদক কমিশনার নাসিরউদ্দিন আহমেদ, সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, বিভিন্ন বিভাগের মহাপরিচালক, পরিচালকসহ দুদকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।গত বৃহস্পতিবার সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ইকবাল মাহমুদকে দুদকের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এ এফ এম আমিনুল ইসলামকে কমিশনার নিয়োগ দেয় সরকার। আজই দুজন কমিশনের দায়িত্ব বুঝে নেন।