হাঁ এটাই শেখ হাসিনা-তিনি’ই আমাদের প্রধানমন্ত্রী!
স্টকহোম থেকে মিলন রহমান : হাঁ এটাই শেখ হাসিনা-তিনি’ই আমাদের প্রধানমন্ত্রী! সুইডেনের স্টকহোমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সব প্রটোকল ভেঙ্গে রাস্তার ওপারে গিয়ে সমবেত বাংলাদেশীদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন!
শেখ হাসিনা বাংলাদেশীদের বলেছেন, এই তোরা ক্যামন আছিস, ভাল আছিস, ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করিস। এ যেন স্নেহময়ী মায়ের আদর। শেখ হাসিনার এমন কথাবার্তায় বাংলাদেশীরা উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন।
হ্যাঁ, সুইডেনের স্টকহোমে এমনটাই করেছেন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেখা গেছে, কড়া নিরাপত্তার চাদরে আবৃত প্রটোকলে আসছেন নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যাশা এই ফাঁকে যদি একটু দেখে নেয়া যায়। সে আশায় দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রবাসীরা। কিন্তু নিয়ম ভেঙ্গে ওই উৎসুক জনতার সঙ্গে তিনি কুশলবিনিময় করবেন! -এতটা প্রত্যাশা ছিল না তাদের।
এমন সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দুই গাড়ির ফাঁক দিয়ে প্রায় দৌড়ে ছুটলেন প্রধানমন্ত্রী। রাস্তার ওপাশে পৌঁছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে হাস্যরত প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময় করলেন। এভাবে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে আপ্লুত প্রবাসীরাও।
বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের ধারণ করা এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্টকহোম সিটি কনফারেন্স সেন্টারের সামনে ও আশপাশে অবস্থান নিয়ে রয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এ সেন্টারেই ইউরোপ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। একটু পরেই আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে একনজর দেখার জন্য কনফারেন্স সেন্টারের বিপরীত দিকের রাস্তায় জটলা করছেন কিছু উৎসুক মানুষ। তারা বেশির ভাগই প্রবাসী বাংলাদেশি।
যথারীতি কালো রংয়ের একটি গাড়ি আসলো। ব্যস্ত হয়ে উঠলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতরা। স্বাভাবিকভাবেই নামলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় রাস্তার বিপরীত দিকের দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে করতালি দেন। হয়তো কেউ কেউ তাদের বিদেশি বন্ধুদের শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে বলছেন- ‘ইনিই আমাদের প্রধানমন্ত্রী’।
১৪ জুন প্রথম কোনো বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনদিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে সুইডেন পৌঁছান শেখ হাসিনা। শুক্রবার সফর শেষে সুইডেন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ জুন লন্ডন হয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি।
এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী দলসহ ৪৭ সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল ছিল।