• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

হলি আর্টিজানে আর্মির অপারেশন থান্ডারবোল্ড যেভাবে-


প্রকাশিত: ৩:২৭ পিএম, ২ জুলাই ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০০ বার

সাইফুল বারী মাসুম   :    কমান্ডো অভিযানে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জিম্মি সংকটের

মিলিটারি অপারেশনন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী
মিলিটারি অপারেশনন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী

অবসান হয়েছে।শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের ওই রেস্তোরাঁয় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সোয়াতের সমন্বয়ে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়।

এ অভিযানে নারী-শিশু ও বিদেশীসহ অন্তত ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জন বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন।

Oparation Bold-www.jatirkhantha.com.bd-1একনজরে জিম্মি সংকট–
সকাল ৭টা ৩০ মিনিট: রাতভর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখার পর যৌথ সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল গুলশানে অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়।

৭টা ৪৫ মিনিট: কমান্ডো বাহিনী অভিযান শুরু করে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলের সদস্যরা রেস্তোরাঁর ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

৮টা ১৫ মিনিট: রেস্তোরাঁ থেকে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

৮টা ৫৫ মিনিট: ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা। গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে গোয়েন্দারা।

৯টা ১৫ মিনিট: অভিযান শেষ। কমান্ডো অভিযানের মধ্যদিয়ে ঢাকার গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়।

৯টা ২০ মিনিট: বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গুলশান। পরে জানানো হয়, বোমা নিস্ক্রিয় ইউনিটের সদস্যরা রেস্তোরাঁর ভেতরে পাওয়া অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।

৯টা ৩০ মিনিট: গুলশান এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান পুলিশ মহাপরিদর্শক।

১০টা : ৪ জন বিদেশীসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধারের খবর জানানো হয়। রেস্টুরেন্টের ভেতরে অজ্ঞাত পাঁচজনের মৃতদেহ পাবার কথা পুলিশ জানায়।

১১টা ৫০ মিনিট: অভিযানে সন্ত্রাসীদের ৬ জন নিহত এবং একজন ধরা পড়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিট: আইএসপিআরের ব্রিফিং থেকে জানানো হয়- বন্দুকধারীরা শুক্রবার রাতেই জিম্মি করে ২০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। শনিবার অভিযানের সময় ৬ বন্দুকধারীকে হত্যা ও একজনকে জীবিত আটক করা হয়।

এ ছাড়া ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন শ্রীলংকান ও একজন জাপানী নাগরিক রয়েছন।