• বুধবার , ৮ জানুয়ারী ২০২৫

হত্যা মামলায় খালাস ছাত্রদল নেতা জাকির খান


প্রকাশিত: ১০:৩১ পিএম, ৭ জানুয়ারী ২৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯ বার

নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানসহ আটজন।মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় দেন।খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান, জিকু খান, মামুন খান, নাজির আহমেদ ওরফে নাজিরসহ আটজন।কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, সাব্বির হত্যা মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত জাকির খানসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন।আসামিপক্ষের আইনজীবী রাজীব মন্ডল বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৩৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে ৩০টি মামলায় ইতোমধ্যে খালাস পেয়েছিলেন জাকির খান। বাকি তিনটি মামলার মধ্যে দুটিতে জামিনে আছেন তিনি। আজ নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর তার মুক্তিতে আর বাধা নেই। আশা করি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দিদার খন্দকার
দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, আমরা এ রায়ে খুশি হয়েছি। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে আমাদের নেতা জাকির খানকে দীর্ঘ ১৭ বছর হয়রানি করেছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে আজকে ষড়যন্ত্রকারীরা দাঁতভাঙ্গা জবাব পেয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট নয়জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়।

পরবর্তীতে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মসিহউদ্দিন দায়িত্ব পান। দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট আটজনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।